
গোঘাট: পাড়ার সমস্যার সমাধান সাধারণ মানুষই করবেন। আর তারই জন্য কয়েকমাস আগে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ স্কিমের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই প্রকল্পের কাজেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠল হুগলির গোঘাটে। হাত দিয়ে ঠেলতেই পড়ে গেল কংক্রিটের পিলার। এমনকি, নির্মীয়মাণ দেওয়ালের ইটও হাত দিতেই পড়ে গেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজ বন্ধ করে দিলেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগকে যথার্থ বলে মেনে নিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক।
গোঘাট ১ ব্লকের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘারবার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচালয় তৈরি হচ্ছে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পে। শৌচালয় তৈরির জন্য নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে পড়ে। এইভাবে কাজ হলে যেকোনও সময় দেওয়াল চাপা পড়তে পারে।” সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা এদিন সকালে কাজ বন্ধ করে দেন।ঘটনার খবর পেয়ে পরিদর্শনে যান ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পার্থ নন্দী। নির্মাণ সামগ্রী ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা কয়েকদিন আগে ইটের গাঁথুনি হাত দিয়ে ছাড়িয়ে ক্যামেরার সামনে দেখিয়েছিলেন। তিনিও এই নিয়ে সরব হন। এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর রাজনৈতিক তরজা শুুরু হয়েছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, “মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নানা প্রকল্প শুরু করছেন। সেই প্রকল্পগুলির যেমন স্থায়িত্ব নেই। তেমনই নির্মাণেরও স্থায়িত্ব নেই। তৃণমূলের নেতাই দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে নির্মাণকাজ হয়েছে। এটা আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান নয়, আমাদের পাড়ায় সমস্যা বাড়ানো।”
তৃণমূল পরিচালিত ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেরিফা বিবি বলেন, “পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়েছি। উনি এসে রিপোর্ট দেওয়ার পর বিষয়টা দেখছি।” এদিকে, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।