Hooghly: ‘টাকার জন্য বিয়ে’, প্রাক্তন স্বামীকে মেরে বাঁশ বাগানে ফেলে আসার অভিযোগ মা-মেয়ের বিরুদ্ধে

Man allegedly killed by ex wife: সুমন্তের বোনের দাবি, বার বার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতে যেতেন তাঁর দাদা। গতকালও কদমের বাড়ি যান তিনি। রাত দুটো নাগাদ পুলিশ খবর পায়, কাঁরারিয়া এলাকার একটি বাঁশ বাগানে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সুমন্তর পরিবার দেহ শনাক্ত করে।

Hooghly: টাকার জন্য বিয়ে, প্রাক্তন স্বামীকে মেরে বাঁশ বাগানে ফেলে আসার অভিযোগ মা-মেয়ের বিরুদ্ধে
ধৃত মা-মেয়ে (বাঁদিকে), কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের বোন (ডানদিকে) Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 26, 2025 | 5:39 PM

তারকেশ্বর: প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগান থেকে মাথা থেঁতলানো অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য হুগলির তারকেশ্বরের কাঁরারিয়া এলাকায়। মৃত যুবকের নাম সুমন্ত শিট (৩৫)। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কদম মণ্ডল ও সৎ মেয়ে অঙ্কিতা মণ্ডলকে। ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

মৃত সুমন্ত শিটের বাড়ি তারকেশ্বরের কেশবচক এলাকায়। বছর দশক আগে কদম মণ্ডলকে বিয়ে করেন তিনি। তার আগে কদম মণ্ডল আরও একজনকে বিয়ে করেছিলেন। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পরই সুমন্তর সঙ্গে কদমের বিয়ে হয়। বছর তিনেক আগে বিচ্ছেদ হয় দু’জনের। অভিযোগ সুমন্তর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল প্রাক্তন স্ত্রী কদম।

সুমন্তের বোনের দাবি, বার বার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতে যেতেন তাঁর দাদা। গতকালও কদমের বাড়ি যান তিনি। রাত দুটো নাগাদ পুলিশ খবর পায়, কাঁরারিয়া এলাকার একটি বাঁশ বাগানে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সুমন্তর পরিবার দেহ শনাক্ত করে। এরপরই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে মৃতের প্রাক্তন স্ত্রী কদম মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশের বক্তব্য। তারপর ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আর ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সুমন্তর নামেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একাধিক থানায় তাঁর নামে চুরি ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশি জেরায় প্রাক্তন স্ত্রী ও সৎ মেয়ে দাবি করেছেন, বিচ্ছেদের পরও তাঁদের উপর অত্যাচার করতেন সুমন্ত। গতকাল রাতে চরম অশান্তি কারণে সুমন্তর মাথায় বাঁশ দিয়ে মারে তাঁরা। এর পর বাঁশ বাগানে দেহ ফেলে দিয়ে আসেন।

অন্যদিকে, সুমন্তর বোন অঞ্জলি বলেন, “আমার দাদার সঙ্গে বিয়ের আগে একজনকে বিয়ে করেছিলেন কদম। সেই স্বামীকে খুন করেন। তারপর আমার দাদাকে বিয়ে করেন। টাকার জন্য আমার দাদাকে বিয়ে করেছিলেন।”