ডানকুনি ও দিঘা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন দিঘায়। কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটাবেন ভেবেছিলেন। বোধহয় সঙ্গ দিল না কপাল! সৈকত শহরে বেড়াতে এসেই বিপত্তি। বান্ধবীর সঙ্গে লাগাতার ঝগড়া। অভিমানে আত্মঘাতী বলে প্রাথমিক অনুমান। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ সঙ্গীকে। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত যুবকের স্ত্রীর। তদন্তে দিঘা থানার পুলিশ।
নিউ দিঘার একটি হোটেলে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির। নাম রাম উপাধ্যায় (৪৩)। হুগলির ডানকুনি থানার গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা। রামবাবু ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, প্রেমিকা মালা ঘোষ ও ব্যবসায়ী সঙ্গী ডানকুনির বাসিন্দা কমল নারায়ণ দুবেই এই খুনের পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাম উপাধ্যায়ের স্ত্রী অনিতা উপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার প্রেমিকা মালা ঘোষের সঙ্গে দিঘা আসেন। রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সোমবার দুপুর নাগাদ হোটেলের লোকজন ও দিঘা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দিঘা হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমে দিঘা থানার পুলিশ আটক করেছে নিহতের মহিলা সঙ্গী মালাকে। পুলিশ জানায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসতের নপাড়ার বাসিন্দা তিনি। মালাও বিবাহিত। রামের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
অনিতা দেবীর বয়ান অনুযায়ী, গতকাল ব্যবসায়িক কাজে হলদিয়া যাচ্ছেন বলে বের হন তাঁর স্বামী। মাঝে ফোনে কথা হয়। রাতের পর আর তাঁর ফোন ধরেনি রাম। সকালে ফোন করলে মালা নামের মহিলা ফোন ধরেন। তিনিই তাঁর স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। ঘটনা প্রসঙ্গে মালা দেবী বলেছেন, “রাতে মদ খেয়ে রাম আমার সঙ্গে লাগাতার অশান্তি করছিল। মারধরও করেন তাঁকে। রাগে আমি বারান্দায় চলে যাই। সেই ফাঁকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নেন রাম। আমি একবার বারণ করি শোনেনি। তারপর কখন যে এমন করল।” ইতিমধ্যে নিহতের মহিলা সঙ্গীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন দিঘা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Sankar Ghosh: রাজ্যে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই এবার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট শঙ্কর ঘোষের!