Mass beating:চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন বলে অনুমান! জিআরপি ও পান্ডুয়া থানার পুলিশের দড়ি টানাটানি!

Hooghly: জিআরপির দাবি ওই চটি মৃত যুবকের। তার হাত গামছা ও দড়ি বাঁধা অবস্থায় একটি আম গাছের গোরায় পড়ে ছিল।

Mass beating:চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন বলে অনুমান! জিআরপি ও পান্ডুয়া থানার পুলিশের দড়ি টানাটানি!
মেয়ের মৃতদেহ পুঁতে দিলেন বাবা (প্রতীকী চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 3:42 PM

হুগলি: ফের খবরে গণপিটুনির ঘটনা । গতকাল একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আজকের স্থান হুগলি। চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন যুবককে।

আজ সকালে খন্যান স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক যুবককে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় জিআরপিকে। ব্যান্ডেলের জিআরপি তাকে উদ্ধার করে ইটাচুনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস জানান যে বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এদিকে ওই যুবকের বুকে ও তল পেটে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় চিকিৎসকরা অনুমান করেন তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম হলে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।

এরপর জিআরপি মৃতদেহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রেখে চলে যায়। পরে জিআরপি সূত্রে খবর ওই যুবককে খন্যান স্টেশন বাজারে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাচ্চু দাস জানান, “গতকাল সন্ধেয় ওই যুবককে মারধর করা হয়। তারপর তাঁকে দু নম্বর প্লাটফর্মে ফেলে দেওয়া হয়। স্টেশন বাজার থেকে প্লাটফর্মের দূরত্ব পঞ্চাশ মিটার। ইলেকট্রিক পোস্টের পাশ থেকে একজোরা চটি ও একটি লাঠি উদ্ধার হয়।”

জিআরপির দাবি ওই চটি মৃত যুবকের। তার হাত গামছা ও দড়ি বাঁধা অবস্থায় একটি আম গাছের গোরায় পড়ে ছিল।

এদিকে, স্টেশন বাজারে যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জিআরপি দাবি করছে সেই জায়গা রাজ্য পুলিশ অর্থাৎ পান্ডুয়া থানার এলাকা।তাই জন্য জিআরপি মৃতদেহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফেলে চলে যায়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক খন্যান স্টেশন মাস্টারকে চিঠি লিখে মৃত দেহ নিয়ে যেতে বলেন। পান্ডুয়া থানাকেও ফোন করেন।পরে জিআরপি মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনু সরকার বলেন,”যুবক অজ্ঞাত পরিচয়।রেল স্টেশনে রাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।” হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন , ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আজও এইরকম ঘটনা সামনে এসেছে। ফের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তবে এবার আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন স্বয়ং আইন রক্ষক। পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের মারে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।

ঘটনাস্থান মালদা । মৃতের নাম বিজয় মণ্ডল। বয়স ৪৫। তিনি থাকতেন কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাগমারি এলাকায়। জানা যাচ্ছে, বিজয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। যার কারণে অশান্তি লেগেই থাকত বলা চলে। এরপর সেই ঝামেলা মেটাতে আসে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। সালিশি সভা বাসানো হয়।

জানা গিয়েছে, বিজয় মণ্ডলকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তারা বেধড়ক মারধর করে। এখানেই শেষ নয়, পরিবারের অভিযোগ মোথাবাড়ি থানাতে গিয়েও তাঁকে মারধর করা হয়। এই মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি হয়। এরপর গতকাল তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: Aliaa Bhatt: ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’র গরবা নাচের শুটিং শেষে কোরিওগ্রাফার কী বললেন আলিয়াকে?