হুগলি: আঠারোর বছরের কম বয়সে বিয়ে। বাড়ছে নাবালিকা নিখোঁজের সংখ্যা। হুগলি জেলায় নাবালিকা নিখোঁজ ও বাল্যবিবাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। টিভি৯ নাইন বাংলার খবরের জেরে নজরে আসে নাবালিকা নিখোঁজের তথ্য। তারপরই পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল তারা। এবার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন NCW-র সদস্য অর্চনা মজুমদার।
হুগলি জেলায় গত কয়েক মাসে শতাধিক নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার পাশাপাশি স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের বাল্যবিবাহের ঘটনা বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক উদ্যোগ নিতে সোমবার চুঁচুড়ায় সার্কিট হাউজে হুগলি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার, হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (ডেভেলপমেন্ট), হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার-সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার জানান, হুগলি জেলায় বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে নাবালিকাদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মূলত দেখা যাচ্ছে, মোবাইল ব্যবহারের কারণে নাবালিকাদের নিখোঁজ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই অবস্থায় অভিভাবকদের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সন্তানরা ফোনে কী ব্যবহার করছে, সেই দিকে নজর রাখা দরকার। পাশাপাশি বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।পুলিশকে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। অভিভাবকদের জেল হতে পারে।
মূলত আরামবাগ মহকুমায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়েছে। এই সমস্যা রোধে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতনতা মূলক শিবির আয়োজন এবং স্কুলে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার বিষয়ে নজর দিতে হবে বলে অর্চনা মজুমদার মন্তব্য করেন।
জাতীয় মহিলা কমিশনের এই সদস্য বলেন, গত এক বছরে হুগলি জেলায় ৮০০-র বেশি নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তবে তিনি আরও বলেন, পুলিশ অনেক নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ উদ্ধার হয়নি। গত দু’বছরে নিখোঁজের সংখ্যা বেড়েছে। এই ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান তিনি।