হুগলি: পানাগড় কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। নিহত সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজ দেও শর্মা নতুন দাবি করলেন। তাঁর দাবি, সুতন্দ্রার কথা শুনেই তিনি নাকি সাদা গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনা তার নজরে পড়েনি।
সেই প্রসঙ্গে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী বলেন, “তাহলে আগে ওইরকম বয়ান দিয়েছিল কেন? এখন আবার নতুন করে এক ধরনের বয়ান। ওরা বলেছিল যদি মাঝখানে গাড়ি থামাতাম, তাহলে ম্যাডামকে ওরা গাড়িতে থেকে নামিয়ে নিত। এখন হঠাৎ করে এতটা কথার মধ্যে ফারাক আসছে, সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। আমার মেয়ে যদি বলে থাকে জোরে গাড়ি চালিয়ে ওই গাড়িটাকে ধরতে, তাহলে একজন চালকের কী কর্তব্য?”
তিনি আরও বলেন, “চালকের উচিত ছিল যাত্রীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করা। মালিকের কথা শুনে জোরে গাড়ি চালিয়ে মালিককেই মেরে দিলেন! গাড়ি চালক বা অন্য যাত্রীরা আগে কখনই বলেননি যে সুতন্দ্রা গাড়ি জোরে চালাতে বলেছিল।”
ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুতন্দ্রার মায়ের কথায়, “কয়েক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সত্য উদঘাটিত করতে পারবে না। গাড়ি ছুটেছে অনেকক্ষণ সেই ফুটেজ কোথায়। আমার একটাই দাবি দুটো গাড়িতে যারা যারা ছিল তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা হোক। হঠাৎ করে বয়ান বদলের কারণ কী? এরাই তো আগে বলেছিল অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল, কটূক্তি করছিল অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিল। কিন্তু যখন এফআইআর লেখা হল সেখানে তার উল্লেখ রইল না! টাইপ করে ইংরেজিতে লেখা ছিল এফআইআর। এইসব জিনিসের উত্তর চাই আমি।”
এদিকে, বাবলু যাদবকে শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হলে তিনি জানান, “আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, তাই পালিয়ে গিয়েছিলাম।” বাবলুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী বলেন , “কারও দোষ না থাকলে সে ভয় পাবে কেন?”
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতে পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। বছর সাতাশের ওই তরুণী চন্দননগরের বাসিন্দা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার তিনি, পাশাপাশি নৃত্যশিল্পীও। অভিযোগ, রবিবার রাতে পানাগড়ে জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি করে ফিরছিলেন সুতন্দ্রা। সেই সময় কয়েকজন মত্ত যুবক তাঁর গাড়ি ধাওয়া করে কটূক্তি করে। গাড়ি নিয়ে পালানোর সময়েই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।