
হুগলি: সিঙ্গুরে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে নার্সিংহোম থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ বাবার। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানোর দাবি। অবশেষে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট সামনে এল। পিএম রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিঙ্গুরের নার্সিং পড়ুয়া।
গত ১৬ অগস্ট কল্যাণীর এইমসে ময়নাতদন্ত করা হয় সিঙ্গুরের ওই ছাত্রীর। নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে।
মৃতের পরিবারের দাবি মেনে এইমস-এ ময়নাতদন্ত হয়েছিল। ৪ জন ফরেনসিকের সিনিয়র চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছিল।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘Antemortem Hanging’ শব্দ উল্লেখ করা রয়েছে। গলায় ফাঁস, আর তার জেরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর কথা উল্লেখ। পাশাপাশি তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ও শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল না। পাশাপাশি ধৃত প্রেমিক রাধাগোবিন্দর মোবাইল ফোন খোঁজের চেষ্টা করছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার আগের দিনও প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি হোটেলে উঠেছিলেন ওই ছাত্রী। ওই হোটেলে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর আগে ওই ঘটনায় নার্সিংহমের মালিককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। কারণ তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ছুটির আগের দিন নার্সিংহোম মালিকও ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন।