Dankuni: ভারতে এসে নীল ছবি বানাত বাংলাদেশি, জানাজানি হতেই ডানকুনিতে হইহই

Hooghly: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাসেল সিকদার বাংলাদেশি। অভিযোগ, বছর চারেক আগে বাংলাদেশের এক নাবালিকাকে ফুঁসলে নিয়ে আসে ভারতে। হুগলির ডানকুনিতে একটি ফ্ল্যাট কিনে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে শুরু করেছিল বসবাস। সেই ফ্ল্যাটেই চলত নীল ছবির শুটিং। তারপর তা বিক্রি করা হত একাধিক পর্ন সাইটে।

Dankuni: ভারতে এসে নীল ছবি বানাত বাংলাদেশি, জানাজানি হতেই ডানকুনিতে হইহই
এই এলাকাতেই থাকতেন বাংলাদেশি Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 24, 2025 | 1:49 PM

হুগলি: এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলছে। আর সেই প্রক্রিয়া চালু হতেই বর্ডারে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিড়। যাঁরা বেআইনিভাবে এ দেশে থাকছিলেন, তাঁরা এবার ফিরে যেতে ব্যস্ত। এই আবহের মধ্যে এবার ডানকুনি থেকে সামনে এল এক বাংলাদেশির কীর্তি। অভিযোগ, এ দেশে নীল ছবির কারবার ফেঁদেছিল বাংলাদেশি যুবক। ডানকুনি একটি ফ্ল্যাটে চলতো নীল ছবির শুটিং। সেই ছবি একাধিক পর্ন সাইটে বিক্রি করত ওই বাংলাদেশি যুবক। চার বছর ধরে চলছিল এই কারবার। অবশেষে গত শনিবার পুলিশের জালে ধরা পরে বাংলাদেশি যুবক রাসেল সিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাসেল সিকদার বাংলাদেশি। অভিযোগ, বছর চারেক আগে বাংলাদেশের এক নাবালিকাকে ফুঁসলে নিয়ে আসে ভারতে। হুগলির ডানকুনিতে একটি ফ্ল্যাট কিনে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে শুরু করেছিল বসবাস। সেই ফ্ল্যাটেই চলত নীল ছবির শুটিং। তারপর তা বিক্রি করা হত একাধিক পর্ন সাইটে। এক প্রকার বলপূর্বক বাংলাদেশি মহিলাকে দিয়ে নীল ছবি শুটিং করত রাসেল সিকদার। মহিলার উপর অত্যাচার করত বলে জানা গেছে।

কিছুদিন আগে রাসেল সিকদার দুর্ঘটনার কবলে পরে অসুস্থ্য হয়। রাসেলের অসুস্থার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ এবং এদেশের প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চায় ওই মহিলা। এরপরই গত শনিবার মহিলার দেওয়া নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে বাংলাদেশি রাসেল সিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং বাংলাদেশি ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশি যুবকের কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে  রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা প্রকাশ পাল বলেন, “ডানকুনিতে বাংলাদেশিতে ভর্তি হয়ে গেছে এমনকী ডানকুনিতে থেকে পর্ন ভিডিয়ো সুট হচ্ছে। এলাকার তৃণমূল নেতারা জেগে ঘুমাচ্ছে। চার বছর ধরে ডানকুনির মত এলাকায় চার বছর ধরে বসবাস করে পর্ন ভিডিয়ো তৈরি করছে, অসামাজিক কাজ করছে সেখানে এলাকার তৃণমূল নেতারা ঘুমাচ্ছে। অথচ জেগে থাকার কথা।” যদিও, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি এসবের তারা কিছুই টের পাননি। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিক। এর পর থেকে সজাগ থাকা হবে। কোথায় কে ফ্ল্যাট কিনছে কারা কিনছে এগুলোর দিকে নজর রাখা হবে।