হুগলি: নিত্যদিন চাঙড় ভেঙে পড়ছে চন্দননগর হাঁটখোলার শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের। যার জেরে তিনতলা ওই বিদ্যালয় ভবনের ভগ্নদশা উপরতলার পাঁচটি ঘর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুমের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে এক একটি ক্লাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে মেনে নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কস্তুরী রায়।
মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের বাইরের কার্নিশ থেকে একটি বড় চাই ভেঙে পড়ে। কেউ হতাহত না হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বিদ্যালয় সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন। বুধবার সেই দাবিতেই বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। একই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ফান্ড থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষিকা কস্তুরী রায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার দাবি মেনে নিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। প্রায় ২৫ জন অস্থায়ী শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেতন দেওয়া সহ স্কুলের উন্নয়নে ওই টাকা ব্যয় হয়।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি বেশ কিছু স্কুল পুর দফতরের হাতে রয়েছে। পুর দফতরের হাতে থাকা স্কুলগুলি স্থানীয় পুরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই মতো চন্দননগর পুরনিগম পরিচালিত এই স্কুলের বেহাল দশা হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পুরনিগম কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে।
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তীর দাবি, “বিদ্যালয়ের রক্ষনাবেক্ষণে অনেক টাকার প্রয়োজন। পুর দফতরকে জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া প্রসঙ্গে মেয়রের জবাব, “ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। ভাল ভাবে চালাতে গেলে কিছু বেশি টাকা লাগে। সেটাই নেওয়া হচ্ছে।” অতিরিক্ত টাকা নিয়েও বিদ্যালয় ভবনের উন্নতি না হওয়ায় অভিভাবকরাও ক্ষুদ্ধ। তাঁরাও চান শতাধিক বছরের পুরোনো ওই ভবন অবিলম্বে মেরামত করা হোক।