
বৈদ্যবাটি: টাকা ঢুকে গিয়েছে অ্যাকাউন্টে। অথচ আবাসের ঘর হয়নি। ঠিকাদার টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। অপরদিকে পুরসভা আবার বলছে. বাড়ি না হলে টাকা ফেরত, নয়ত এফআইআর। ফাঁপরে রাতের ঘুম ছুটেছে উপভোক্তার। এমন ঘটনা একাধিক মানছে পুরসভা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ নগর এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে আবাস যোজনার বাড়ির টাকা এলেও বাড়ি তৈরি হয়নি। এলাকার এক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার বাড়ি তৈরি করে দেবেন বলে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকাই উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ বাড়ির উপভোক্তা নানু চক্রবর্তীর। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন মহকুমা শাসক ও বৈদ্যবাটি পুরসভা ও শ্রীরামপুর থানায়।
জানা গেছে, তিনটে কিস্তিতে ৩ লক্ষ টাকা আসে ওই মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। নানু চক্রবর্তীর দাবি, ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ধাপে ধাপে দিয়ে দেন স্থানীয় ঠিকাদার সন্দীপ মিশ্রা ওরফে সনুকে। সেই টাকা পেয়ে বাড়ির ভিত থেকে অল্প কিছু কাজ করেন। তারপর বেপাত্তা হয়ে যায় ঠিকাদার।
২০২২ সালের স্কিমের টাকায় কাজ শুরু হলেও, এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি বাড়ি। বন জঙ্গলে ভর্তি হয়ে আছে ওই জায়গা। নানু চক্রবর্তী বলেন, “পুরসভা থেকে আমায় বলা হয়েছে ঘরের টাকা পেয়েছেন, ঘর তৈরি করতে হবে। তা না হলে টাকা ফেরত দিতে হবে। নয়তো পুরসভার পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এতেই রাতের ঘুম ছুঠেছে তাঁর।
মহিলার অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, “পুরসভার নিজস্ব কোনও ঠিকাদার নেই। আবাস যোজনার টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি যায়। কাকে দিয়ে কাজ করাবেন তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। দুষ্কৃর্ম করলে সবাই বলে তৃণমূলের নেতা, আমি তৃণমূলের লোক। এর দায় তৃণমূল নেবে না। পুরসভা থেকে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি বাড়ি কমপ্লিট করতে হবে,তা না হলে টাকা ফেরত দিতে হবে।”