
গোঘাট: এসআইআর-এর শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেক পরিবারের নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। শুনানিতে ডাক পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। গত শনিবার থেকেই চলছে সেই শুনানি পর্ব। বয়স্ক, অসুস্থ মানুষজনকেও দাঁড়াতে হচ্ছে শুনানির লম্বা লাইনে। এবার সেরকম লাইনেই দেখা গেল তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধানকে। তাঁর বাবা ও মা উভয়েরই নাম নেই ২০০২-এর এসআইআর তালিকায়। ফলে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সোমবার সকালে হুগলির গোঘাটে পঞ্চায়েত প্রধানকে দেখা গেল, শুনানি কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে রীতিমতো কাঁপছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, দিদির নাম নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
নোটিস পেয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও মা দুজনেই বেশ আতঙ্কিত। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এগুলো করছে। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “সবথেকে বেশি চিন্তিত আছি আমার দিদি-ক নিয়ে। বাবা ও মায়ের ২০০২-এর লিস্টে নাম না থাকায় বিবাহিত দিদির ম্যাপিং হচ্ছে না।” তাই তিনি ভয়ে আছেন আর কাঁপুনি হচ্ছে।
এদিকেই, হুগলিতে এদিন শুনানি বন্ধ করে দিতে দেখা যায় খোদ বিধায়ককে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার দাবি করেন, বিএলএ-২ দের শুনানি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। এই দাবিতে শুনানি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পরে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, কোনও শুনানিতে বিএলএ ২ থাকতে পারবে না। বাইরে ক্যাম্প করে থাকতে হবে তাঁদের।