Hooghly : বন্যায় গৃহহারা, বছর ঘুরলেও অসহায় ধান্যঘোরির বাসিন্দারা

Hooghly : এখনও গত বছরের বন্যার ভয়াবহতার চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে ধান্যঘোরি। ভাঙা বাড়িগুলি পড়ে রয়েছে।

Hooghly : বন্যায় গৃহহারা, বছর ঘুরলেও অসহায় ধান্যঘোরির বাসিন্দারা
গত বছরের বন্যার চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে ধান্যঘোরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 9:07 PM

খানাকুল : বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে অনেকের জায়গা। সেই বিপর্যয়ের পর বছর ঘুরে গিয়েছে। এখন আবার বন্যার ভ্রুকুটি। কিন্তু, এক বছর পরও তাঁদের নিজের বাড়ি নেই। বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এলাকায় রাস্তার অবস্থাও বেহাল। ফলে ফের বন্যা আসলে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় খানাকুলের ধান্যঘোরির বাসিন্দারা। অসহায় এইসব মানুষজন কেমন আছেন, খোঁজ-খবর নিল TV9 বাংলা।

গত বছর রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে লন্ডভন্ড হয়েছিল খানাকুলের ধান্যঘোরি। স্রোতের টানে ভেঙে পড়েছিল একের পর এক বাড়ি। প্রায় ৩০টি পরিবার গৃহহারা হন। NDRF উদ্ধারকাজ চালানোয় অসুবিধায় পড়েছিল। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধার করেছিল দুর্গতদের। এর পর কিছু দিন আরামবাগ প্রশাসন তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিল।

তারপর থেকে গৃহহারা বেশ কয়েকটি পরিবারের ওই এলাকায় ভাড়াবাড়িতে কাটছে। বাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়াবেন বলছেন। এই অবস্থায় কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না বিশ্বনাথ সামন্ত, সুজন সামন্তরা। এখন তাঁরা সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছেন। খাওয়া পরা চাই না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের আবেদন, একটু আশ্রয়স্থল। মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগে বন্যা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বন্যার পর থেকে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়েছে। জন প্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তি কেউই কোনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি বলে অভিযোগ। গ্রামের রাস্তাও কার্যত নেই। বাধ্য হয়েই সেচের কাজে ব্যবহৃত পাইপ লাইনের উপর দিয়েই চলাফেরা করতে হয়।

বছর ঘুরে আবার বর্ষা এসেছে। ফের বন্যার ভ্রুকুটি। গত বছরের সেই দুর্যোগের কথা ভাবলে এখনও শিউরে ওঠেন শিবানী দেবী। বললেন, “সেদিন মেয়ে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে না গেলে মারা যেতাম। এখনও ভাবলে ভয় হয়। এখন কখনও মেয়ের বাড়িতে, কখনও বাবার বাড়িতে থাকি।” কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে সাহায্যের আর্জি জানালেন তিনি।

flood

গত বছরের বন্যার কথা ভাবলে এখনও শিউরে ওঠেন বাসিন্দারা

ধান্যঘোরির খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বারে বারে প্রশাসনিক দফতরে বিষয়গুলি জানানো হয়েছে। দুর্গতরা এখনও মাথাগোঁজার ঠাঁই পায়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িগুলি কে পাবে, তা ঠিক করে স্থানীয় পঞ্চায়েত। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্য সরকার দুর্গতদের জন্য কিছু করেনি।”

তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা বলেন, “দুর্গতদের খুব শীঘ্রই বাংলার আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে। ভিটেমাটি হারানোয় তাদের সরকারি জমি প্রয়োজন। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।”