হুগলি: কয়েকদিন আগে হাসপাতালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। সেই সময় পুলিশের হেফাজতে ছিল সে। আর আজ যখন তাকে চুঁচুড়া নিয়ে আসা হচ্ছে, তখন কোনও ‘ঝুঁকি’ নিতে চায়নি তার ‘গ্যাংয়ের সদস্যরা’। তাই চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পুলিশ গার্ড দিয়ে চুঁচুড়া নিয়ে আসার সময় টোটনের গ্যাংয়ের কিছু যুবক বাইকে করে সেই কনভয়ের পিছু নেয়। পুলিশ অবশ্য গ্যাংয়ের সদস্যদের এই কাজকে ভালভাবে নেয়নি। তাদের আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েক রাউন্ড কার্তুজ।
আজ টোটনকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চুঁচুড়া আনা হচ্ছিল। পুলিশের গাড়ির পিছু নেয় টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যরা। ডানকুনি থেকে দিল্লি রোডে ওঠার পর চন্দননগর পুলিশ টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যদের আটকায়। তাদের রাস্তার পাশে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে হাত মাথার পিছনে রেখে তল্লাশি শুরু করে। দেখা যায়, পুলিশ একটি ডায়েরিতে প্রত্যেকের নাম লিখছে। এমনকি পুলিশ অফিসাররাও হাতে পিস্তল নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ওই যুবকদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েক রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অগস্ট আদালতে তোলার আগে টোটনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে মেডিক্যাল চেপ আপের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সামনেই টোটনকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টোটন দাবি করেছিল, বাবু পাল নামে একজন তাকে মারার জন্য লোক পাঠিয়েছিল। বাবু পাল সহ মোট পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি থেকে চারজনকে এবং কল্যাণী থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবুর সঙ্গে টোটনের পুরনো শত্রুতা রয়েছে। টোটন ও বাবু উভয়কেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে বাবু জামিন পেলেও মাদক মামলায় জেলেই থেকে যায় টোটন। জেলে বন্দি টোটনের কারবারে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে বাবু। তা থেকে তাদের শত্রুতা।
সূত্রের খবর, টোটেন যখন বাইরে ছিল, তাকে সব সময় চল্লিশ-পঞ্চাশ জন ঘিরে থাকত। অন্য কেউ যাতে তাকে আক্রমণ না করতে পারে, সেজন্য ওই ব্যবস্থা। হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন টোটনের উপর হামলা হয়েছে। তাই তার গ্যাংয়ের সদস্যরা আজ ঝুঁকি নিতে চাইনি। সেজন্যই তারা পুলিশের গাড়ির পিছনে বাইক নিয়ে আসছিল। তবে টোটনের গ্যাংয়ের সদস্যদের এই ‘বেয়াদপি’ সহ্য করেনি পুলিশ। তাদের আটক করা হয়।