হুগলি : নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিছু কম নয়। টেট পরীক্ষাতেও উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই দুর্নীতির তদন্তেই নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শিল্পা নন্দীকে। সোমবারই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সেই মতো নথি নিয়ে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। মূলত ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পা নন্দী।
সোমবার সকালে সিবিআই দফতরে যান হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। যে সব নথি চাওয়া হয়েছিল সেগুলি জমা দেন তিনি। শিল্পা নন্দীর সিবিআই দফতরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হয়। কেন তাঁকে সিবিআই তলব করল? নিজাম প্যালেস থেকে ফিরে শিল্পা জানান, শুধুমাত্র হুগলি নয়, প্রতিটি জেলার প্রতিনিধিদেরই ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সোমবার হুগলির জন্য সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছিল।
তিনি জানান, সিবিআই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়েছিল। সেই মতো পর্ষদ চিঠি দিয়ে জানায় প্রতিটি জেলায় প্রাইমারি কাউন্সিল বা সংসদগুলিকে। সিবিআই অফিসে নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়মতো সেখানে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই নোটিস পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পা নন্দী। এর আগেও কয়েকবার সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শিল্পা নন্দী বলেন, পরবর্তীকালে আবার যদি ডাকা হয় সিবিআই দফতরে আমি অবশ্যই যাব।
২০১৪ সালে যে সময় এই নিয়োগ হয়েছিল সেই সময় শিল্পা নন্দীর সভাপতি ছিলেন না। সেই সময় নির্মলেন্দু অধিকারী ছিলেন হুগলির সভাপতি। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এই হুগলি জেলার তৃণমূল যুবনেতা ছিলেন। এছাড়া প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এই জেলার পলাশিপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক।