হুগলি : কুন্তলের পর এবার নজরে শান্তনু। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় শুক্রবারই ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। ইতিমধ্যে তাঁকে ও কুন্তল দুজনকেই দল থেকে ছেঁটে ফেলেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। মঙ্গলবারই হয়েছে বড় ঘোষণা। এদিকে শান্তনু গ্রেফতার হতেই হুগলির নানা প্রান্ত থেকে চোখ ধাঁধানো সব সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এবার চন্দননগরে হদিশ মিলল শান্তনুর প্রোমোটিং ব্যবসার। সূত্রের খবর, স্ত্রীর নামে টাকা লাগিয়েছিলেন শান্তনু। চন্দননগর জিটি রোডের ধারে সত্যপীরতলায় ছয় কাঠা জায়গার উপর বহুতল তৈরির কথা ছিল।
এদিকে আগেই খবর মিলেছিল বিলাসবহুল বাড়ি, বাগানবাড়ি, ধাবা রয়েছে শান্তনুর। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বড় এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি বিশালাকার বাগানবাড়ি। এ ছাড়াও নামে, বেনামে রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। রয়েছে বিলাসবহুল রিসর্ট। একদিন আগই শান্তনুর আরও এক সম্পত্তির খোঁজ মেলে চুঁচুড়ায়। সেখানেও চন্দননগরের কায়দায় ফ্ল্যাট তৈরির কথা ছিল। একটি দোতলা বাড়ি ও জমি কেনার এগ্রিমেন্টও শান্তনু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ৭০ লক্ষ টাকার এগ্রিমেন্ট হয়েছিল বলে দাবি ওই বাড়ির মালিকের। এদিকে শুধু নিজের নামেই নয় তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও রয়েছে একাধিক বিনিয়োগ। চুঁচুড়ার পর এবার চন্দননগরের এক আবাসন তৈরিতে নির্মাণকারী সংস্থায় শরিক হিসাবে নাম রয়েছে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার। জানা গিয়েছে চন্দননগর সত্যপীরতলায় একটি জমি কিনে তার উপর ঐশানি অ্যাপার্টমেন্ট নামে একটি আবাসন তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে রয়েছেন তিন জন শরিক। ইন্দ্রনীল চৌধুরী, দিবাকর মুখার্জী এবং প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বিষয়ে ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, “দিবাকর মুখার্জি এবং আমি একসঙ্গে প্রোমোটারির ব্যবসা করি। ২০২০ সালে পরিচয় হয় শান্তনুর সঙ্গে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এসে একদিন জানান তাঁরা আমাদের সঙ্গে পার্টনার হিসাবে প্রোমোটারি ব্যবসায় যুক্ত হতে চান। সেই মত আমরা তিনজন পার্টনারে ওই আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত নিই।” সূত্রের খবর, সম্প্রতি হওড়ার মুন্সিরহাটে আরও একটি বহুতল নির্মাণ হয়েছে। সেখানেও টাকা ঢেলেছেন শান্তনু।