Rajanya Halder: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জানাননি?’, নগ্ন ছবি বিতর্কে মুখ খুললেন রাজন্যার বান্ধবী

Rajanya Halder: বৈশালী আজ চুঁচুড়ায় বলেন, "২০২৩ সালের ২১ জুলাই সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন রাজন্যা। সেটা জয়ী ব্যান্ডের সদস্য হওয়ার কারণে। তারপর থেকে একাধিক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে।"

Rajanya Halder: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জানাননি?, নগ্ন ছবি বিতর্কে মুখ খুললেন রাজন্যার বান্ধবী
রাজন্যা ও তাঁর বান্ধবী Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 09, 2025 | 7:21 PM

ব্যান্ডেল: উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার। এমনটাই অভিযোগ, তাঁর বান্ধবী সহকর্মী জয়ী ব্যান্ডের সদস্য বৈশালী দত্তগুপ্তের।

ব্যান্ডেলের বাসিন্দা বৈশালী দীর্ঘদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেছেন। এক সময় হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সম্পাদক। জয়ী ব্যান্ড যখন তৈরি হয় সেখানে তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। রাজন্যার সঙ্গে তখন থেকে বন্ধুত্ব বৈশালীর। এক সঙ্গে কত মঞ্চে গান গেয়েছেন একসঙ্গে।

বৈশালী আজ চুঁচুড়ায় বলেন, “২০২৩ সালের ২১ জুলাই সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন রাজন্যা। সেটা জয়ী ব্যান্ডের সদস্য হওয়ার কারণে। তারপর থেকে একাধিক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। খুব কাছ থেকে কথা হয়েছে। অথচ রাজন্যা এখন বলছেন তাঁর AI বিকৃত ছবির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি?যা সর্বৈব মিথ্যা।”

তিনি এও বলেন, “রাজন্যা বলছে অনেক মনোজিৎ আছে। আমরা বলছি এক মনোজিতের ভয় দেখিয়ে আগামী প্রজন্মের ছাত্রীদের জুজু দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।যাতে তাঁরা মনে করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদে এবং তৃণমূলে সহকর্মীদের কাছেই সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। বাস্তব সেটা নয়।”

বৈশালীর দাবি, “আমরা দীর্ঘদিন দল করছি। অনেক আন্দোলনে রাত জেগেছি। দিল্লি গিয়েছি। সেখানে দলের দাদা ভাই বন্ধুরাই পাশে থেকেছে। কখনো মনে হয়নি আমরা মেয়েরা অসুক্ষিত।” এরপর কার্যত কটাক্ষ করেন রাজন্যার বাবাকে। তিনি বলেন, “নতুন বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর রাজন্যার বাবা তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেখলাম। তাঁর মত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব নাকি এখন আর নেই। রাজন্যা চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বলেছিল বিজেপি নাকি ওকে টিকিট দেবে।কে বলেছে কোথায় দেবে সে বিষয়ে অবশ্য বলেনি কিছু।”

এমনকী এও বলেন, “আরজি কর আবহে বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছিল দলের অনুমতি ছাড়াই। তখন বলেছিল নেত্রী রাজন্যা আর অভিনেত্রী রাজন্যা আলাদা।দল তাকে সাসপেন্ড করায় হঠাৎ উত্থান থেকে পতন মেনে নিতে পারেনি। তাই দলকে কালিমালিপ্ত করতে এসব বলছে।” বস্তুত, কসবাকাণ্ডের আবহের মধ্যেই রাজন্য অভিযোগ করে বলেছিলেন, কসবাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত AI দিয়ে তাঁর নগ্ন ছবি প্রথমে বানায়। তারপর সেটি বিভিন্ন লোকজনের মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর রাজন্যার স্বামী প্রান্তিককে তাঁর জুনিয়ররা সেই ছবি পাঠিয়ে বিষয়টি জানায়। এই অভিযোগ সামনে আসতেই তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীদের একাংশ আক্রমণ শানান রাজন্যাকে।