
হুগলি: একে তো ভাঙাচোড়া রাস্তা। তার উপর আবার রাস্তার অর্ধেক অংশ বেআইনিভাবে ইমারতি-ব্যবসায়ীরা দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আর এই জোড়াফলায় নাকাল সাধারণ মানুষ। অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে রাস্তায় যাতায়াত করতে হয় স্কুল পড়ুয়াদেরও। হুগলির হরিপালের থানামোড় এলাকা থেকে সিপাইগাছি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা। সেই রাস্তা ঘিরেই বিস্তর অভিযোগ এলাকার লোকজনের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু রাস্তা খারাপ বা রাস্তা দখলই নয়। এই রাস্তার মাঝে চৈতন্যপুর এলাকায় একটি সেতু আছে। সেটিও ভগ্নপ্রায় বলেই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, ছোটখাটো দুর্ঘটনা এ পথে লেগেই আছে। অভিযোগ, ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করেছেন। রাস্তার ধারে ফেলে রেখেছেন বালি, স্টোনচিপস। ফলে প্রস্থে ক্রমেই ছোট হচ্ছে বেহাল রাস্তা। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, প্রশাসন সবটা দেখেও কার্যত না দেখার ভান করে থাকে।
এলাকার লোকজনের দাবি, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এখন ছোটখাটো বিপদ হচ্ছে ঠিকই। তবে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় একটা অঘটনও ঘটে যেতে পারে বলে ভয় এখানকার মানুষের। এই রাস্তা ধরে নিয়মিত একাধিক স্কুলের ছেলে মেয়ে যাতায়াত করে। তারা কেউ সাইকেলেও যায়। একে তো ভাঙা রাস্তা, তার উপর রাস্তার ধারে বালি পড়ে থাকার কারণে যে কোনও সময় সাইকেলের চাকা পিছলে ঘটতে পারে বিপত্তি। কোনও গাড়িও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটাতে পারে অঘটন। সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকেন মা-বাবারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে এই পথ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হোক স্থানীয় প্রশাসন। বিরোধীদের দাবি, হরিপাল ব্লকের একাধিক রাস্তার অবস্থাই বেহাল। তাদের খোঁচা, পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধান মনোনয়ন নিয়ে অতি তৎপরতা দেখিয়েছে শাসকদল। অথচ স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা মেটাতে কোনও উদ্যোগ নেই। হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বাবলু গায়েন অবশ্য দাবি করেছেন, এই সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। দু’ একটা জায়গায় হয়তো কাজ হয়নি। তা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। পুজোর মুখে রাস্তা মেরামতের কাজও হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।