School Closed: তৃণমূল জমানায় শুরু, সেই জমানাতেই শেষ! স্কুলের বারান্দায় এখন কাপড় শুকোয়

Tanmoy Bairagi | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 06, 2025 | 12:22 PM

School Closed: জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু ওই স্কুলে ঝুলছে তালা। তাও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, শিক্ষক নিয়োগ হলে নিশ্চয় আবারও স্কুল খুলবে। অফিস, স্টাফ রুম থেকে ক্লাসরুম সর্বত্রই তালা ঝুলছে।

School Closed: তৃণমূল জমানায় শুরু, সেই জমানাতেই শেষ! স্কুলের বারান্দায় এখন কাপড় শুকোয়
বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আরামবাগ: ভবনটির সামনে লেখা ‘সর্বশিক্ষা মিশন’। তবে শিক্ষার কোনও নাম-গন্ধ নেই। ক্লাসরুম এখন অতীত। সেগুলির দরজায় ঝুলছে তালা। বারান্দায়, যেখানে টিফিনের সময় কচিকাঁচাদের হুল্লোড় হওয়ার কথা, সেখানে এখনও শাড়ি, সোয়েটার, কম্বল শুকোয়। সামনে একটা ছোট্ট মাঠ। সেখানে ধান শুকোতে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গরু-ছাগলকে ঘাস খাওয়াতেও যান অনেকে। না, বহুদিন আগের কোনও স্কুল নয়। তৃণমূল সরকারের আমলে শুরু হওয়া স্কুলের এরই মধ্যে এই হাল।

স্কুল চালু হওয়ার পর এক দশক যেতে না যেতেই শিক্ষক শূন্য স্কুলে ঝুলল তালা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে ঘটা করে নতুন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল হুগলির গোঘাটের শ্যামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাণ্ডুগ্রামে। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের পড়ুয়ারা ওই স্কুলে পড়তে যেত। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল ২ জন শিক্ষক। এছাড়াও পড়ুয়াদের সুবিধার্থে গ্রামের ক্লাবের কয়েকজন শিক্ষিত ছেলে বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে পড়াতেন ও যাবতীয় অন্যান্য কাজ করতেন।

বছর ১২ যেতে না যেতেই দু-এক বছরের ব্যবধানে ২ জন শিক্ষক শিক্ষিকাই অবসর নিয়েছেন। ফলে সরকারিভাবে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকায় আর নেই ওই স্কুলে। স্থানীয় ক্লাবের শিক্ষিত যুবকদেরও প্রয়োজন পড়ে না। নতুন শিক্ষাবর্ষের আগেই তাই পড়ুয়াদের টিসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য স্কুলে।

জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু ওই স্কুলে ঝুলছে তালা। তাও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, শিক্ষক নিয়োগ হলে নিশ্চয় আবারও স্কুল খুলবে। অফিস, স্টাফ রুম থেকে ক্লাসরুম সর্বত্রই তালা ঝুলছে। স্কুলের বারান্দায় গ্রামবাসীরা পোশাক শুকোতে দিচ্ছেন। পরিচালন কমিটির সদস্য জানাচ্ছেন, সরকারি নিয়োগে জটিলতা থাকায় নিয়োগ হয়নি। অভিভাবকরাও বলছেন, আস্থা কমে যাচ্ছে।

Next Article