Smart Meter: ‘এক মাসে ১২ হাজার টাকার বিল দেওয়া সম্ভব?’, স্মার্ট মিটারে বিল আসতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল ব্যান্ডেলের দম্পতির…বিদ্যুৎ আধিকারিক যা যুক্তি দিলেন…

Smart Meter: ব্যান্ডেল কেওটা শরৎপার্কের বাসিন্দা দম্পতি সুশান্ত জোশেফ ও পম্পা জোশেফ।তাঁদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসেছে গত মাসে। চলতি মাসে বিল এসেছে প্রায় বারো হাজার টাকা।

Smart Meter: এক মাসে ১২ হাজার টাকার বিল দেওয়া সম্ভব?, স্মার্ট মিটারে বিল আসতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল ব্যান্ডেলের দম্পতির...বিদ্যুৎ আধিকারিক যা যুক্তি দিলেন...
বিদ্যুতের বিল দেখে চমকে উঠেছেন গৃহকর্ত্রী!Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 04, 2025 | 5:39 PM

হুগলি:  স্মার্ট মিটার নিয়ে রাজ্যবাসীর এখন চরম বিভ্রান্তি। বিভিন্ন জেলায় গ্রামাঞ্চলে জোর করে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি নতুন মিটারে বাড়ছে বিদ্যুতের বিলও! এবার এই অভিযোগ ঘিরে বিড়ম্বনায় ব্যান্ডেলের বাসিন্দারা।

ব্যান্ডেল কেওটা শরৎপার্কের বাসিন্দা দম্পতি সুশান্ত জোশেফ ও পম্পা জোশেফ।তাঁদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসেছে গত মাসে। চলতি মাসে বিল এসেছে প্রায় বারো হাজার টাকা।

পম্পা জোশেফ বলেন, “আমরা স্মার্ট মিটার বসাতে চাইনি। জোর করে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে। এখন বিল দেখে মাথায় হাত। কী করে এক মাসে বারো হাজার টাকা দেব!”
সুশান্ত গুজরাটে থাকেন। বাড়িতে দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামী গুজরাট থেকে মেল করে মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎমন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই পুরোনো মিটার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”

হুগলি রিজিয়ন বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় গ্রাহকের কনজিউমার নম্বর সার্চ করে তথ্য নিয়ে জানান, স্মার্ট মিটার বসানোর পর ওই গ্রাহক ৫১৭ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। আগের মিটারে ৮৪৪ ইউনিট বাকি ছিল।
পুরোনো বিল ব্যবস্থায় কোয়ার্টারলি অর্থাৎ তিন মাসের বিল একসঙ্গে করা হত। যে তিন মাস বিদ্যুৎ খরচ হত, তার পরের তিন মাস সেই বিল দেওয়ার সুযোগ থাকত।এখন স্মার্ট মিটারে প্রতিমাসে বিল দিতে হবে। প্রথম বার বিলের ক্ষেত্র যেহেতু বকেয়া বিদ্যুৎ খরচের হিসাব ধরা হচ্ছে,  তাই বেশি মনে হতে পারে।

তাঁর কথায়,  সেক্ষেত্রে যদি কোনও গ্রাহক বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে আবেদন করেন তিনি কিস্তির সুযোগ পাবেন। স্মার্ট মিটার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।