SIR News: এক সময় ভোটে লড়েছেন, এবার সেই কংগ্রেস প্রার্থীরই নাম নেই তালিকায়

Hooghly: হুগলির গোঘাটের একাধিক জায়গায় নির্বাচন কমিশনের তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলছেন ভোটাররা। এর জেরে এসআইআর আতঙ্ক গ্রাস করেছে নাম না থাকা সাধারণ ভোটারদের মনে। প্রতিবছর ভোট দিলেও কাদের ভুলে তালিকা থেকে নাম গায়েব হয়েছে? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সকলেই।

SIR News: এক সময় ভোটে লড়েছেন, এবার সেই কংগ্রেস প্রার্থীরই নাম নেই তালিকায়
হুগলিতে অনেকের নাম নেইImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 12, 2025 | 1:20 PM

গোঘাট: কোথাও এক পরিবারের সাতজন, কোথাও নাম নেই ২০২১-এর বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থীর, কোথাও আবার বাদ পড়লেন খোদ প্রিসাইডিং অফিসার। ২০০২ এর ভোটার তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে।

হুগলির গোঘাটের একাধিক জায়গায় নির্বাচন কমিশনের তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলছেন ভোটাররা। এর জেরে এসআইআর আতঙ্ক গ্রাস করেছে নাম না থাকা সাধারণ ভোটারদের মনে। প্রতিবছর ভোট দিলেও কাদের ভুলে তালিকা থেকে নাম গায়েব হয়েছে? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সকলেই।

গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা অসীম পোড়েল। তিনি পেশায় একজন কৃষক। জানা যাচ্ছে, তাঁর বৃদ্ধা মা সহ কারও নাম নেই তালিকায়। বর্তমানে মাঠে ধান কাটার কাজ চলছে। সেই কাজ ফেলে তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে পরিবারের। তাঁরা সকলেই এনুমারেশন ফর্ম পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন একটাই। তাঁরা তো কোনও ভুল করেননি, তাহলে তাঁদের এত ঝামেলা পোহাতে হবে?

তবে একা অসীম নন, গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা শোভা ধাড়া তাঁরও নেই নাম। ১৯৯১ সালে গোঘাট বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। সেই প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমতি পেয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছেই। বর্তমানে সেই নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকা থেকেই বাদ গিয়েছে নাম। তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সুধীরচন্দ্র ধাড়া। একসময় ভোটে প্রিসাইডিং অফিসারের ডিউটি সামলেছেন। অথচ ধাড়া দম্পতির নাম নেই কমিশনের প্রকাশিত তালিকায়। নাম বাদ যাওয়া নিয়ে তাঁরাও চিন্তায় রয়েছেন। এদিকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা।

গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজয় রায় বলেন, “দেখা যাচ্ছে ২০০২ এর ভোটার লিস্টে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম নেই। কমিশন হয়ত কাজ করে কিন্তু করায় বিডিও। আর বিডিও কাদের?” আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, “কমিশন আর বিজেপি সরকার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিজেপি সরকার যা বলে কমিশন মুখ বুজে তাঁর মান্যতা দেয়। ২০০২ সালে যে ভোটার লিস্ট প্রকাশ হয়েছে তা ভুলে ভরা।”