
হুগলি: গৃহশিক্ষকের ভাড়াবাড়িতে টিউশন পড়তে এসেছিলেন। সেইসময় অন্য কোনও ছাত্র-ছাত্রী ছিল না। সেই সুযোগে ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে শুক্রবার মারধর করে ছাত্রীর পরিবার। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ মানতে পারছেন না অনেকেই। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়ার।
জানা গিয়েছে, হুগলির একটি কলেজে পার্টটাইম লেকচারার হিসাবে কাজ করেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা ওই শিক্ষক। সেই সুবাদে চুঁচুড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ান বিগত কয়েক বছর ধরে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর ভাড়াবাড়িতে বাংলা পড়তে আসেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার প্রথম বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ওই শিক্ষক। সেই সময় ঘরে শিক্ষক আর ওই ছাত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এদিন বিকেলে চুঁচুড়া মহিলা থানায় অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। তার আগে শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঝামেলার খবর পেয়ে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী বসু চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি বলেন, “আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এধরনের ঘটনা সমীচীন নয়। অভিযোগের সারবত্তা তদন্ত করে দেখা উচিত। কেন অভিযোগ উঠল, তা আদৌ সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আর যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে শিক্ষক পড়ুয়ার সম্পর্কে এগুলো হওয়া উচিত না।”
যে বাড়িতে শিক্ষক ভাড়া থাকেন, সেই বাড়ির মালিক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানতে পারছেন না। এক অভিভাবিকা বলেন, “স্যর কারও দিকে মাথা তুলে তাকান না। দরজা-জানালা খুলে পড়ান। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনা হলে আজ কেন এল?” এক ছাত্রী বলেন, “আমি স্যরের কাছে তিন বছর ধরে পড়ি। উনি এরকম নন। স্যর এরকম করেছেন, কেউ মানবেন না। এটা ভুয়ো। পড়ার সময় আমিও কখনও আগে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু, কখনও স্যরের এমন মনোভাব দেখিনি।”
শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামিকাল তাঁকে চুঁচুড়া পকসো আদালতে তোলা হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।