শ্রীরামপুর: রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় কার্নিভালকে ‘সরকারি টাকায় মোচ্ছব’। সেই সঙ্গে তাঁর খেদ, কার্নিভালের আয়োজন সরকারের তরফে হলেও কোনও বিজেপি বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শনিবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই এ কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিসর্জন এবং কার্নিভালে যে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
সুকান্ত বলেছেন, “মালবাজার এবং রায়গঞ্জে প্রশাসনিক উদাসীনতার জন্যই মানুষ মারা গেছে। হীরক রাজার এই কাণ্ড দেখা ছাড়া তো আমাদের আর উপায় নেই। চাকরি নেই বলেই তো উৎসব উৎসব করে দান ধ্যান মেলা খেলা করে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে। সমাজবিদরা অনেকদিন আগেই বলে গেছেন চাকরি বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতে এসব করতে হয়।” রায়গঞ্জে শোভাযাত্রায় ষাড়ের গুতোয় একজনের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সম্পূর্ণ প্রশাসনিক অপদার্থতা। যে পরিবারের লোক চলে গেল তার দায়টা কে নেবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন? তিনি শুধু মেলা খেলায় ব্যস্ত।“ তিনি আরও বলেন, “কার্নিভালের বাংলা করলে দাঁড়ায় মোচ্ছব। জানি না কেন বাংলা পক্ষের দিদির ভাইরা চুপ আছেন। আমরা ইতিহাসে পড়েছি বঙ্কিমচন্দ্র শরৎচন্দ্রের লেখায় পড়েছি কলকাতার বাবুরা পায়ড়া ওড়াতো, বাইজি নাচাতো। সেই বাবু সংস্কৃতি হয়ত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
সৌমেন্দু অধিকারীকে দশ ঘন্টা জেরার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, বিরোধী দলনেতা ও তাঁর পরিবারকে বিব্রত করার জন্যই এ সব জেরা। অনুব্রত এবং সায়গলের প্রসঙ্গও এ দিন উঠে এসেছে সুকান্তের কথায়। তিনি বলেছেন, “সাইগল হোসেন বা অনুব্রত মণ্ডল হল বোরে। আসল রাজা রানি পিছনে আছেন। সিবিআই-ইডি যতক্ষন না তাঁদের কাছে পৌছাচ্ছে ততক্ষন তদন্তের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।”
সুকান্তের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, “কাদের আমন্ত্রণ জানাবো, যাঁরা রাজ্যের দুর্গাপুজো বন্ধ করতে হাইকোর্টে যায়। বলে রাজ্যে দুর্গাপুজো হয় না। আগে বলুক এ সব বলা ভুল হয়েছে। তার পর নিমন্ত্রণ করব।”