হুগলি: বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। সম্প্রতি বাড়িতে ঢুকে অভিনেতার উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি বাংলাদেশি। আর এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মুখ খুলতে গিয়ে বিজেপি সাংসদের দাবি, নদিয়া থেকে ঢুকে মুম্বই গিয়ে সইফের পিঠে চাকু মেরেছে অভিযুক্ত।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিদির অনুপ্রেরণা। নদিয়া থেকে ঢুকিয়ে চালান করে দিয়েছে। সইফ আলি খানের উপর এই আক্রমণ শুনে তো বিরোধীরা লাফিয়ে উঠেছিল। আরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু রাজ্য হয়ে গেছে। মুসলিমদের কোনও সুরক্ষা নেই। ধরা পড়ল কে দেখলেন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে গিয়ে সইফের পিছনে চাকু গেঁথেছে। ইন্ডি জোটের এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”
যদিও, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, “এটা কাম্য নয়। যদি মানুষ ঘরের ভিতর মধ্যে সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে তো কেন্দ্রে যিনি ক্ষমতায় আছেন তাঁকে জবাব দিতে হবে। সেলেবদের নিরাপত্তা না থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
প্রসঙ্গত, ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ইস্যু খুবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যে ছ’টি ফ্রন্টইয়ার রয়েছে তার একাধিক জায়গায় নেই কাঁটাতার। বিএসএফ জানতে পেরেছে, কয়েকজন ভারতীয় দালালই এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ঢুকতে সাহায্য করছে। মহম্মদ শরিফুলের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। মুম্বইয়ের গোয়েন্দারা জেনেছেন, ভারতীয় দালালরাই বিপুল টাকার বিনিময়ে শরিফুলকে ঢুকতে সাহায্য করেছিল। জানা যাচ্ছে, অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে রেইকি করছেন। তারপর শীতের রাতের সুযোগ নিয়ে ঢুকে পড়ছে ভারতীয় ভূ-খন্ডে। তারপর ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলাদেশ থেকে যারা আসছে সকলের দুষ্কৃতী তা নয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কাজের জন্যও থেকে যাচ্ছে। অনেকে আবার অত্যাচারিত হয়েও আসছে।