Suvendu Adhikari: শুভেন্দু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্ল্যাটে থাকেন। আলু চাষে কখন বীজ পুততে হয়, সার লাগে, কিছু আইডিয়া নেই। তাই গায়ের জোরে সিঙ্গুরে য়া করতে চেয়েছে সর্বৈব ফেল করেছেন।"
সিঙ্গুর: সিঙ্গুরের আলু চাষিদের প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে ভারতীয় জনতা কৃষান মোর্চার ডাকে অবস্থান কর্মসূচি হতে চলেছে সিঙ্গুরের রতনপুর মোড় এলাকায়। তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ চারিদিকে লাগানো হয়েছে বিজেপির পতাকা। সেখানেই যোগ দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক নজরে শুভেন্দুর বক্তব্য
শুভেন্দু অধিকারী: যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি সংকল্পপত্রে যা যা বলেছিল পুরাণ করেছে। দিল্লিতে সব হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী: তৃণমূলের দুটো টার্গেট। এক হল মুসলিমদের ঠিক রাখো, রোহিঙ্গাদের আরও ঢোকাও। আর ভোট এলেই ২০০-৫০০ ভাতা দিয়ে দাও।
শুভেন্দু অধিকারী: রাজ্যে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু লাগে। উৎপাদন হয় ১.৪ কোটি মেট্রিক টন। বাড়তি আলু বাইরের রাজ্যে যায়। দু’দুবার পুলিশকে দিয়ে বর্ডার আটকেছে। আর মার্কেট এখন উত্তরপ্রদেশ পঞ্জাব দখল করেছে। বাইরের রাজ্য বাংলা থেকে আর আলু নেবে না।
শুভেন্দু অধিকারী: আমি এসেছি যখন হাতে কাগজ নিয়ে এসেছি। ফেব্রুয়ারি মাস ২০২৫ এর সার্কুলার দেখুন। ১৫ টাকা কেজি দরে ২ কোটি ২০ লক্ষ বস্তা আলু কিনবেন বলেছিলেন কে? ডাকাত বেচারাম মান্না কাল নাকি শোভনদেবকে নিয়ে আসছেন। বিজেপির পতাকা না দেখিয়ে আলু চাষিরা জিজ্ঞাসা করবেন। লোক দেখানো কয়েক বস্তা কিনে কাজ শেষ করেছে। রতনপুরে ১২টাকা কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। কৃষক পাচ্ছে সাড়ে আট টাকা। কোল্ড স্টোরেজ, আলু শুকনো করার খরচ বাদ দিয়ে ফসলে তিনটাকা কেজি মিনিমাম। কৃষকদের লস হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী: আমি মনে করি প্রয়াত রতন টাটার কম্পানি দয়া করেছেন। মাত্র ৭৬৬ কোটিতে ফয়সালা। আমি কর্মচারি থাকতাম তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কান মুলে ২ হাজার কোটি টাকা আদায় করতাম। দিতে হবে পালাবেন কোথায়।
শুভেন্দু অধিকারী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্ল্যাটে থাকেন। আলু চাষে কখন বীজ পুততে হয়, সার লাগে, কিছু আইডিয়া নেই। তাই গায়ের জোরে সিঙ্গুরে য়া করতে চেয়েছে সর্বৈব ফেল করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী: টাটার কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে সর্ষের বীজ বোনেন। গাছ বেরোয়নি। সর্ষে ফুল ফোটেনি। তারপর জেসিবি মেশিন দিয়ে খুঁড়ে মাছ চাষ। আর মাছ চাষ হয়নি, জলের দেখাও মেলেনি। ওরা পারবে না কারণ, টাটাদের সৎ পথে উপার্জিত রড, সিমেন্ট ওই জমির সঙ্গে মিশেছে। আর জমির নেচার পরিবর্তন হয়ে গেছে।
শুভেন্দু অধিকারী: বিজেপি এলে কৃষকদের ন্যায্য পাওয়া দেবে। এই এলাকায় আলু চাষ হয়। কৃষি উপর নির্ভর করেন। বিজেপি এই রাজ্যে এই জেলায় বারেবারে লড়াই করেছে। আমি যখন এখানে আসি তখন এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি-সিঙ্গুর সহ আলুচাষিদের নিয়ে কী করেছেন? আমি বললাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থনৈতিক ভাবে খুনের ব্যবস্থা করলেন।
শুভেন্দু অধিকারী: কোচবিহারে আমার উপর আক্রমণ হয়। পুরবি বর্মণ অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা পেটে লাথি মারা হয়েছে। পূরবীকে আমরা উদ্ধার করে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসি। ডাক্তার বলে মা বাঁচবে নয়ত সন্তান। তাঁর প্রি-ম্যাচিওর বেবিকে প্রসব করাতে বাধ্য হলেন। তবে সেখানে শিশুদের বিশেষ ব্যবস্থা নেই, তারপর বিশেষ ব্যবস্থা করে কল্যাণীতে নিয়ে আসা হয়েছে।