Student Assault: ক্লাস ফাইভের কিশোরীর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই চলছিল ‘নোংরামো’! মহিলারা বলছেন, ‘ওর মা সব জানত’

Student Assault: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবিতে থানা ঘেরাও করেন বাসিন্দারা। পরে গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়লেন তিনি?

Student Assault: ক্লাস ফাইভের কিশোরীর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই চলছিল 'নোংরামো'! মহিলারা বলছেন, 'ওর মা সব জানত'
আজ হাতে-নাতে ধরলেন বাসিন্দারা!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2024 | 9:54 PM

হুগলি: সকাল থেকে একেবারে হইহই কাণ্ড হুগলির কানাইপুরে। এক ব্যক্তিকে ইলেকট্রিক পোস্টের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মার এলাকার বাসিন্দারা। রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীকে প্রশ্ন করতেই তাঁরা অভিযোগ তুললেন, দিনের পর দিন এক ছাত্রীকে পড়ানোর নামে তাঁকে যৌন হেনস্থা করতেন ওই ব্যক্তি। এমনকী পড়ানো ছাড়াও বাইরে ওই ছাত্রীর সঙ্গেও নাকি দেখা যেত গৃহশিক্ষককে। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, ছাত্রীর মা সবকিছু জানা সত্ত্বেও চুপ করেছিলেন। এই অভিযোগ তুলেই এদিন রীতিমতো ওই ব্যক্তিকে গণপ্রহার করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। এদিন একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা! তেমনটাই বলছেন প্রতিবেশী মহিলা।

মঙ্গলবার সকালেই মারধর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবিতে থানা ঘেরাও করেন বাসিন্দারা। পরে গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়লেন তিনি?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাইপুর নপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ওই অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধেই পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা জানান, বছর ১১-র ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পড়াতে যেতেন ওই শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খবর ছড়াচ্ছিল যে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন মূল্যবান উপহার ও প্রলোভন দেখাচ্ছেন ওই শিক্ষক। একাধিক সোনার গয়না দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।

প্রতিবেশীদের দাবি, মঙ্গলবার সকাল থেকে নজর রেখেছিলেন তাঁরা। শিক্ষক নিয়ম মতো ওই ছাত্রীকে পড়াতেও যান এদিন। ওই মহিলা বলেন, দিনের পর দিন নোংরামো চলত। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিয়ো রেকর্ড করে নেওয়া হয়েছে। তারপর সবাই ছুটে যায় ওই শিক্ষককে টেনে বের করে আনতে। তাঁদের দাবি, ওই শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তবে ছাত্রীর মা কেন চুপ করেছিলেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।