মানকুণ্ডু: মানকুন্ডু স্টেশনে রেল অবরোধ। লাইনে দাঁড়িয়ে লোকাল ট্রেন। বনধের সমর্থনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয় বিজেপি। অপরদিকে, যানবাহন সচল রাখতে তৎপর পুলিশও। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। লাঠিপেটা করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। চরম ভোগান্তি যাত্রীদের।
বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে সামিল হয় বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনের আপ ও ডাউন লাইনের এক,দুই ও তিন নম্বর লাইনে রেল অবরোধ করে বিজেপি। দু’টি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ট্রেন ও তিন নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া বালুরঘাট এক্সপ্রেস।
প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলেছে অবরোধ। যার জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। অফিস টাইমে রেল অবরোধ হওয়ার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ট্রেন অবরোধ ছাড়া হাওড়া বর্ধমান মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বেলা একটু গড়াতেই মানকুন্ডু স্টেশনে অবরোধ শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। পরে বিজেপির পতাকা সরিয়ে দিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে ট্রেনের সামনে লাগিয়ে দেয় সাধারণ যাত্রীরা বলে অভিযোগ। যার জেরে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে অবরোধ।
এরপরই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী,র্যাফ,জিআরপি ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অবরোধকারীদের অবরোধ তোলার আহ্বান জানালেও পিছু হটতে নারাজ অবরোধকারীরা। সমস্যায় রেলযাত্রীরা। পড়ে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠি চার্জ ও পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। রীতিমতো খন্ড যুদ্ধ শুরু হয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সাথে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে,জন-সাধারণের কাছে অনুরোধ কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।”