
পাণ্ডুয়া: বাঙালির কাছে কালবৈশাখী ঝড় মানেই গাছের তলায় আম কুড়নো। কিন্তু তাই বলে এত বড় আম! এ তো মাথায় পড়লে আঘাত লাগার উপক্রম হবে। এমন আমই বাড়িতে ফলাচ্ছেন হুগলির পাণ্ডুয়ার এক শিক্ষক।
বাড়িতেই শখ করে আমবাগান করেছেন পাণ্ডুয়ার বেনেপাড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক পার্থ দে। ইলছোবা মণ্ডলাই হাইস্কুলের শিক্ষক তিনি। গাছ লাগানো তাঁর শখ। হরেক রকম ফলের গাছ করেছেন নিজের বাড়ির বাগানে। বাদ যায়নি আমও। একরকম নয়, হরেক রকম আম ফলাচ্ছেন নিজের বাগানে। আর এবছর প্রথম ফলল ব্রুনাই কিং আম। চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত বড় হবে এই আম।
নিজে আম খেতে ভালোবাসেন বলে, দেশ বিদেশের প্রায় ২৫ রকমের আম গাছ বসিয়েছেন ওই শিক্ষক। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর বাগানে ফলছে মিয়াজাকি, আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, ইয়েলো আইভরি, বানানা ম্যাঙ্গোর মত দুষ্প্রাপ্য সব আম। আর এবারই প্রথম ফলল ব্রুনাই কিং।
ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল, আতা, সবেদা, জামরুল, কলা, লিচুর মতো ফল গাছও রয়েছে তাঁর বাগানে। পার্থ জানান, প্রতি বছরই গরম বাড়ছে, তাই গাছ লাগানোর সংকল্প করেছেন তিনি। ফল খাওয়াও হল, আবার গাছও হল। তাতে মানুষের উপকার হবে বলেই মনে করেন তিনি।
লক্ষাধিক টাকার ফলের চারা কিনে বসিয়েছেন তিনি। স্কুল থেকে ফিরে প্রতিদিন গাছে জল দেন। সার খোল দিয়ে গাছের পরিচর্যা করেন। থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতির আম গাছ রয়েছে তাঁর বাগানে যাতে সারা বছর ফলে আম। ৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন আমেরিকান কেন্টের চারা।
আর ব্রুনাই কিং প্রজাতির আমের চারা এনেছেন মেদিনীপুর থেকে। সেই গাছে আম ফলতে শুরু করেছে। এক একটি আমের ওজন এখনই প্রায় তিন কিলো হয়ে গিয়েছে। পাকার সময় আরও ওজন বাড়বে বলে জানাচ্ছেন পার্থ। আম যে এত তাড়াতাড়ি এত বড় হতে পারে, তা তাঁর জানা ছিল না।