
আরামবাগ: নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে শুরু থেকেই বিরোধীদের নিশানায় শাসক দল। নাম জড়ায় খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের হাত ধরেই দুর্নীতি হয়েছে, এ কথা বারবার বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা। আর এবার অযোগ্য বা দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হতেই সুর আরও চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। কারণ সামনে আসছে একের পর তৃণমূলের নেতা-নেত্রীর নাম।
শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম-নির্দেশে দাগিদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল, সেই তালিকায় রয়েছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেত্রী সাহিনা সুলতানার নাম। কোনও সাধারণ নেত্রী নন, তিনি বর্তমানে হুগলির জেলা পরিষদের সদস্যা। এই নিয়ে পরপর তিনবার জেলা পরিষদের সদস্যা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সাহিনা। শুধু তাই নয়, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন তিনি, আর সেই সময়ই এসএসসি-র এই চাকরি পান বলে অভিযোগ।
২০১৮-র পর ২০২৩ পর্যন্তও জেলা পরিষদে ছিলেন সাহিনা। বর্তমানেও রয়েছেন সদস্যা হিসেবে। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ থাকাকালীন সাহিনা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে শোনা যায়। প্রথমে বাঁকুড়ার একটি স্কুলে চাকরি পান তিনি। পরে খানাকুলের রাজহাটি-বন্দর হাইস্কুলের শিক্ষিকা পদে কর্মরত ছিলেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের কাজে ব্যস্ত থাকায়
স্কুলেই যেতেন না সাহিনা।
খানাকুলের দাপুটে নেতা মইনুল হক হলেন সম্পর্কে সাহিনার দাদা। এদিন যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে নাম রয়েছে ওই মইনুল হকের স্ত্রী নমিতা আদকেরও। দুর্নীতির জাল যে কতটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গিয়েছিল, এই তালিকা সামনে আসার পর সেটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।