
আরামবাগ: প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল বাতিলের নির্দেশের অনেক আগে চাকরি চলে যায় তাঁর। কিন্তু এবার স্কুল সার্ভিস কমিশন অযোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করার পর রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে এমন সব দাগি শিক্ষকদের নাম সামনে আসছে, যারা সরাসরি শাসক দলের নেতা, কেউ কেউ আবার পদাধিকারীও।
হুগলির একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে তালিকায়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সস্ত্রীক বিভাস মালিক। খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত বিভাসের নাম রয়েছে ৩১৬ নম্বরে। হুগলির প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য তিনি। বিভাস তারকেশ্বরের একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। শুধু বিভাসের নাম নয়, ১৩৩২ নম্বরে নাম রয়েছে বিভাসের স্ত্রী সন্তোষি মালিকেরও। ২০১৬-য় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি পেয়েছিলেন। ওই সময় অর্থাৎ ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জেলা পরিষদের সদস্য় ছিলেন বিভাস।
বিভাসকে ফোন করা হলে, তিনি জানান তিনি লিস্ট দেখেননি। তবে এভাবে আরও কত নাম সামনে আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হুগলির আর এক দাপুটে নেতা মইনুল হকের স্ত্রী নমিতা আদকের নামও রয়েছে অযোগ্যদের তালিকায়। নাম রয়েছে হুগলির বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্যা সাহিনা সুলতানারও।