Kuntal Ghosh: বাবা ছিলেন সিপিএমের প্রধান, ৫-৬ বছরেই তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যান কুন্তল ঘোষ
Kuntal Ghosh: একসময় বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধানও ছিলেন কুন্তলের বাবা স্বপন ঘোষ।
বলাগড়: ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) হুগলির (Hooghly) শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাবার স্টিলের বাসনের ব্যবসা থাকলেও, কুন্তল পড়াশোনা শেষ করার পর সেই ব্যবসায় হাত লাগাননি। ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি একটি বি এড কলেজে পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেই সময় থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি না করলেও ২০১৬ সাল থেকে ক্রমশ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কুন্তল। বাবা সিপিএম নেতা হলেও, কুন্তলের রাজনীতির হাতেখড়ি ঘাসফুল শিবিরেই। একসময় বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধানও ছিলেন কুন্তলের বাবা স্বপন ঘোষ।
তৃণমূল করার সুবাদে বলাগড় বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যেত কুন্তল ঘোষকে। জেলার নেতা হলেও হুগলির থেকে বেশি কলকাতায় যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিশেষত দলের যুব সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কলকাতায় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বছর কয়েকের মধ্যেই তৃণমূলের যুব সংগঠনের অন্যতম রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয় দলের তরফে। শাসকদলের নেতা হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের ‘হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনে’র সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। শুধু হুগলি জেলা নয়, তার বাইরে বেশ কিছু জেলাতেও তাঁর একাধিক বিএড ও ডিএলএড কলেজের ব্যবসা আছে বলে জানা যাচ্ছে। বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও আছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব শিশুদের সঙ্গে অনেক ছবি রয়েছে।
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বলে দিচ্ছে, পুজো থেকে সমাজসেবামূলক কাজ, সবেতেই সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন কুন্তল। এলাকায় পরিচিতি রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই, তবে তাঁর বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগের কথা শোনেননি প্রতিবেশীরা।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ইদানিং বলাগড়ে আসা কমে গিয়েছিল কুন্তলের।বেশিরভাগ সময় কলকাতাতেই থাকতেন। রাজারহাটের ফ্ল্যাটেই থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার সকালে সেই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।