হুগলি : একদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqi) ৪২ দিনের জেলযাপনে ফুঁসছে সমর্থকেরা, অন্যদিকে, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ত্বহা সিদ্দিকী। এমন পরিস্থিতিতে বুধবারই ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। সদ্য ফুরফুরা শরিফে উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তপন বাবু জানান, বুধবারই ইমামদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুরফুরায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। তবে কী কী খামতি রয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই যাচ্ছেন বিধায়ক। আগামিদিনে পীরজাদাদের পরামর্শ মতো কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিধায়ক জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। এর আগে এই পদে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি অন্য কাজে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকায়, তপন দাশগুপ্তকে এই পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিন বিধায়ক বলেন, ‘দিদি যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করতে হবে। বুধবার ত্বহা সিদ্দিকী, কাশেম সিদ্দিকী সহ যত ইমাম আছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করব। বড় হুজুর, মেজ হুজুর, ছোট হুজুরের মাজারে প্রণাম করব।’ ফুরফুরার সঙ্গে তাঁর অনেক দিনের সম্পর্ক বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক। বুধবার তাঁর সঙ্গে যাবে ওই উন্নয়ন পর্ষদের আর এক সদস্য তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন মহকুমা শাসক, জেলাশাসকরাও।
বিধায়ক বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের জন্য যা উন্নয়ন করা হয়েছে, ভারতের কোনও মুখ্যমন্ত্রী তা করেননি। তারপরও আলোচনা করেস দেখা হবে কোথাও কোনও ঘাটতি আছে কি না। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন সার্থক করতে হবে।’ স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও বেশি উন্নয়ন করতে হবে বলেই দাবি বিধায়কের। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিমের সাহায্য নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, সদ্য জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক তথা পীরজাদা পরিবারের ছেলে নওশাদ সিদ্দিকী। তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, বিধানসভায় নওশাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। তিনি ফুরফুরায় গিয়েও নওশাদের সঙ্গে দেখা করবেন। উল্লেখ্য, ফুরফুরার ভূমিকা বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর নওশাদের ৪২ দিনের জেলযাপন শাসক দলের প্রতি একাংশের বিরূপ মনোভাব তৈরি করেছে বলেও মনে করছেন অনেকে।