TMC MP Aparupa Podder on Kalyan Banerjee: ‘ঘরশত্রু বিভীষণ…ওঁর পদত্যাগ করা উচিত’

Hooghly: অভিষেকের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ হেনেছিলেন সাংসদ কল্যাণ। কল্যাণের দাবি, অভিষেকের এই মন্তব্য পারতপক্ষে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ।

TMC MP Aparupa Podder on Kalyan Banerjee: 'ঘরশত্রু বিভীষণ...ওঁর পদত্যাগ করা উচিত'
কল্যাণকে আক্রমণ অপরূপার, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 1:15 PM

হুগলি: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুধু তাই নয়, পুর নির্বাচন প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত মতও পোষণ করেছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। অভিষেক তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ জানিয়ে বলেছিলেন, “এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু’‌মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব”। আর এতেই পাল্টা খোঁচা দিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিরোধ অব্যাহত থাকতেই এ বার কল্যাণের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে  ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।  তাঁর কটাক্ষ, ‘ঘরশত্রু বিভীষণরাই’ দলের ক্ষতি করে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই তাঁর ‘ব্যক্তিগত মতামত’  প্রকাশ করে বলেছিলেন, “এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু’‌মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।” অভিষেকের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ হেনেছিলেন সাংসদ কল্যাণ। কল্যাণের দাবি, অভিষেকের এই মন্তব্য পারতপক্ষে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ। এভাবে রাজ্য সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

পাল্টা, কল্যাণের বিরুদ্ধে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার সাংসদ। তাঁর যদি কোনও মন্তব্য থাকত তবে তা দলের অন্দরে প্রকাশ করা উচিত ছিল। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প তিনি নিজেই। কিন্তু এভাবে যদি ঘরশত্রু বিভীষণ নিয়ে বাস করতে হয় তাহলে দলেরই সমস্যা।”

প্রসঙ্গত, কল্যাণ-অভিষেক সংঘাত প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরোধী অবস্থানেই অনড় রইলেন দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে দল থেকে তাড়িয়ে দিক! এমন কথাও শোনা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদের গলায়। অভিষেককে নেতা হিসেবে মানতে রাজি নন, সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। কল্যাণের দাবি, কেন একজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব মত থাকবে, যার সঙ্গে দলের মিল নেই! তাঁর কথায়, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না’।

তাঁর আরও সংযোজন, “অভিষেকের নেতৃত্ব প্রমাণিত হয়নি। অভিষেক একজন পদাধিকারী। নেতা মমতাই। ত্রিপুরা, গোয়া জিতিয়ে দাও, মুখ্যমন্ত্রী করে দাও, তবে অভিষেককে নেতা বলে মেনে নেব।”

কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সামনে আসার পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষে ‘সব বিষয়ের’ ওপর নজর রাখছেন। তাঁর দাবি, বিতর্ক সরিয়ে যদি দেখেন, অভিষেক যা বলেছেন, তা মানুষের মনের কথাই বলেছেন। এ নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিতর্ক পার্টি ভালচোখে দেখছে না। অনাবশ্যক জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।

পাল্টা কল্যাণ জানিয়েছেন, তাঁর মন্তব্যের জন্য কুণালের শংসাপত্র দরকার নেই। কল্যাণ বলেন, “কুণাল মমতাকে নিয়ে কি কদর্য কথা বলেছেন! দলের মুখপাত্র হয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আমার চরিত্র হনন করেছেন কুণাল, আমি এটা দেখে নেব।…আমাকে কখনও জেলে বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হয়নি।”

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ঘরওয়াপসি’-র ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তখনই তাঁকে দলে ফেরানো না হলেও, ত্রিপুরার জনসভা থেকে অভিষেকের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন রাজীব। রাজীবের ঘরে ফেরা বিশেষ ভাল চোখে দেখেননি কল্যাণ। ক্ষোভ ছিলই। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হল অবশেষে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট  মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal on Suvendu Adhikari: ‘নেংটি ইঁদুর একটা, চুরি করে জিতে আবার বড় বড় কথা!’