
রিষড়া: কেটে গিয়েছে চার-চারটে দিন। এখনও কোনও খোঁজ নেই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউয়ের। তিনি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। পূর্ণমের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে থমথমে পরিবেশ। এই আবহেই বাংলার জওয়ানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
পূর্ণমের বাড়িতে এসে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন কল্যাণ। পাশাপাশি, বিএসএফের ডিজিকে ফোন করে নিজেও কথা বলেন এবং পূর্ণমের বাবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তিনি। ডিজির সঙ্গে কথা বলতেই কান্না ভেঙে পড়েন পূর্ণমের বাবা। তবে সেনা আধিকারিকের সঙ্গে ফোনালাপের পর সাংসদ জানিয়েছেন, ‘পূর্ণম সুস্থ আছেন।’ কিন্তু কবে সে রেহাই পাবে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি ডিজি।
শনিবার কল্যাণ পূর্ণমের বাড়ি থেকে বের হতেই, সেখানে পৌঁছে যান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। জানা গিয়েছে, পূর্ণমের পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি, তাদের সমবেদনা জানান তিনি। কীভাবে সে পাকিস্তানে আটক হল, সেই প্রসঙ্গেও পূর্ণমের বাবার কাছে জানতে চান নওশাদ।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে কর্মরত ছিলেন বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম। গত বুধবার পাহারা দিতে গিয়েই ভুলবশত পাকিস্তানে সীমানায় প্রবেশ করেন তিনি। সেই সময়েই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার্সরা। তারপর অবশ্য দুই দেশের সীমানারক্ষীদের মধ্যে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। কিন্তু পহেলগাঁও উত্তেজনা ঘিরে এখনও কোনও সুরাহা আসেনি বলেই খবর। এরই মাঝে স্বামীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। স্বামীর খোঁজ পেতে আগামিকাল পাঠানকোট যাচ্ছেন তিনি। যদি সেখানে গিয়েও কাজ না হয়, তবে দিল্লি অবধি যাবেন বলেই দাবি করেন তিনি।