Kalyan Banerjee on SLST: সোমে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক ব্রাত্যের, আশায় জল ঢেলে চাকরির প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণের

Ashique Insan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 10, 2023 | 6:45 PM

Kalyan Banerjee: সুপ্রিম কোর্টের কথাও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত বলেছে, কোর্টও প্যানেলের সময়সীমা বাড়াতে পারে না। যে প্যানেলের লাইফ নেই, সেই প্যানেল থেকে কীভাবে চাকরি হয়, সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।"

Kalyan Banerjee on SLST: সোমে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক ব্রাত্যের, আশায় জল ঢেলে চাকরির প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণের
নিয়োগের প্যানেল নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে নতুন করে চর্চা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক। তার আগে প্রার্থীদের প্যানেল নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদের কথায়, পুরনো প্যানেলের কোনও আইনি বৈধতা নেই, চাকরি পাওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আর কল্যাণের এই বক্তব্যকে মান্যতা দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। বললেন, আইনি জটিলতা তো আছেই। ঠিকই বলেছেন কল্যাণ। ১ হাজার দিন পথে কাটিয়ে সোমবারের বৈঠক নিয়ে যখন চাকরিপ্রার্থীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। তখন আইনি জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে বিস্ফোরক খোদ শাসকনেতা। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সত্যিই যদি এমনটা হয়, তাহলে সোমের বৈঠক কি নিয়মরক্ষার? অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আশা, আইনি জট থাকলেও তা কেটে যাবে।

রবিবার শ্রীরামপুরের মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাহেশেই কল্যাণ এই প্যানেল নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল থাকে এক বছর। এক বছরের প্যানেলের লাইফ এক্সপায়ার করে গেলে কোর্টেরও ক্ষমতা নেই প্যানেলটাকে এক্সটেন্ড করার। যে সমস্ত বিরোধী দল ধুয়ো দিচ্ছে, ধুনো দিক। কিন্তু কোন আইনে আছে প্যানেল এক্সপায়ার করার পর তারা চাকরি পায়? যত বড় পণ্ডিতরা ওদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন, এটা আমাকে একটু দেখিয়ে দিন। দেখিয়ে দিন এই আইন আছে করা যায়।”

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কথাও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত বলেছে, কোর্টও প্যানেলের সময়সীমা বাড়াতে পারে না। যে প্যানেলের লাইফ নেই, সেই প্যানেল থেকে কীভাবে চাকরি হয়, সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।”

প্রসঙ্গত শনিবারই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনাস্থলে। তাঁর সামনেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই কুণালও এদিন কল্যাণের বক্তব্যে সহমত। কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা আমি খুব জল ঢালা বলে মনে করছি না। কারণ, কল্যাণদা শুধু দলের সিনিয়র নেতা নন, কল্যাণদা একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী। আর আমিও কাল বলেছিলাম যে সরকার নিয়োগ চায়। কিন্তু আইনি একটা জট রয়েছে। কল্যাণদা আইনের পার্টটা নিয়েই বলেছেন। ন্যায্য চাকরিপ্রার্থীদের দাবি যেমন যুক্তিসঙ্গত, তেমন একটা আইনি জটে এটা আটকে আছে।”

Next Article