কার্যত লকডাউনে এবার ‘দুয়ারে রান্নাঘর’ শুরু করল তৃণমূল
আবার অনেকে আছেন যাঁরা লাইন দিয়ে খাবার নিতে অস্বস্তি বোধ করেন। অথচ, তাঁদের খাবারের প্রয়োজনও। এলাকার এমন সব মানুষের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তৃণমূল।
হুগলি: করোনা ও লকডাউন আবহে এবার নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের (TMC)। শুরু হল ‘দুয়ারে রান্নাঘর’ কর্মসূচি। মানুষকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভোটের আগে তৃণমূল সরকার শুরু করে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। সেই উদ্যোগের অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। তবে এবার সরকারি নয়, হুগলি তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে শুরু হল ‘দুয়ারে রান্নাঘর’ প্রকল্প। হুগলির বৈদ্যবাটি শ্রীরামপুর-সহ মোট ছটি জায়গায় চালু হল এই রান্নাঘর।
বৈদ্যবাটিতে প্রতিদিন সাড়ে তিনশো মানুষকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনই উদ্য়োগ নিয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবার শেওড়াফুলি রাজবাড়ির মাঠে এক অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচী শুরু হয়। তার উদ্বোধন করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই উদ্যোগে বৈদ্যবাটির দশ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সুবীর ঘোষের ব্যবস্থাপনায় দুয়ারে রান্নাঘর চালু হল।
শ্রীরামপুরের সন্তোষ সিং এর ব্যবস্থাপনায় গান্ধী ময়দানে চালু হয়েছে এই কর্মসূচি। সুবীর ঘোষ জানান প্রতিদিন নানা রকম মেনু থাকছে এই ‘রান্নাঘরে’। ডিম-মাছ-মাংস, আলু ভাজা, ডাল-ভাত, সবজি আর মিষ্টি থাকছে এদিনের পাতে। এবার থেকে প্রতিদিন রান্নার পর খাবারের প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেন এই উদ্যোগ? তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, অনেক মানুষ করোনা আর কার্যত লকডাউনে সমস্যায় রয়েছেন। একদিকে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনি এই সময়ে বহু মানুষের কাজ চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় দু’মুঠো অন্ন সংস্থানেরই সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। অনেক দুঃস্থ মানুষ আছেন। আবার অনেকে আছেন যাঁরা লাইন দিয়ে খাবার নিতে অস্বস্তি বোধ করেন। অথচ, তাঁদের খাবারের প্রয়োজনও।
এলাকার এমন সব মানুষের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তৃণমূল। অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে এই কর্মসূচী। এদিন আবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রান্নার কাজে হাত লাগান। দুঃস্থদের খাবার পরিবেশনও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বস্তি বাড়িয়ে আরও কমল সংক্রমণ, তবে বাংলায় এখনও বেশি কোভিড-মৃত্যুর হার