TMC: বিজেপির বনধে মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানি, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা

Tanmoy Bairagi | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 29, 2024 | 2:24 PM

TMC: ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। তাতে আরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।  ঝামেলার কথা শুনতে পেয়ে ওই জায়গায় পৌঁছে যান গোঘাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জিত পাখিরা।

TMC: বিজেপির বনধে মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানি, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা
পুলিশ অফিসারকে নিগ্রহের অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: গোঘাট থানার মহিলা পুলিশ অফিসারকে নিগ্রহের অভিযোগ। ঘটনায় গোঘাট থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় খানের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাজে বাধা, মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানি একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে গোঘাট থানার পুলিশ। যদিও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়নি। পরবর্তীতে দলীয় চাপে পড়ে ওই তৃণমূল নেতার ক্ষমা প্রার্থনার ফেসবুক পোস্ট। ইতিমধ্যেই শাসকদলের ভেতরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, বুধবার গোঘাটে কর্তব্যরত মহিলা অফিসারের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা তথা গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় খান। তৃণমূল নেতার সঙ্গে ওই মহিলা এসআই-এর তুমুল বচসা হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে বিজেপির ১২ ঘণ্টা বনধের সমর্থনে গোঘাটের পচাখালি এলাকায় বিজেপি পথ অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোঘাট থানার পুলিশ। অবরোধ তুলতে চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর তারপরই শুরু হয় ঝামেলা। ঝামেলা নিয়ে সঞ্জয়ের বক্তব্য, “মহিলা পুলিশ অফিসার দাঁড়িয়ে থেকে পথ আটকে রেখেছেন। আমরা তো কামারপুকুরের দিকে যাচ্ছিলাম। সরকার যেখানে বলছে বনধ বিরোধী। তাহলে পুলিশ কীভাবে পথ আটকাতে পারে?”

ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। তাতে আরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।  ঝামেলার কথা শুনতে পেয়ে ওই জায়গায় পৌঁছে যান গোঘাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জিত পাখিরা। তাঁর বক্তব্য,  “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর পেয়ে যাই। পুলিশ প্রশাসন তাদের কাজ করেছে। দলে অনেক রকমের ছেলে রয়েছে। কেউ একটু চেঁচিয়ে ফেলতে পারে।”

মহিলা অফিসার তৃণমূল নেতা সঞ্জয় খানকে আটক করারও নির্দেশ দেন। অন্য এক পুলিশ আধিকারিক অভিযুক্তকে আটক না করেই ছেড়ে দেন। পরে ওই মহিলা অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তকে।

Next Article