Trinamool Congress: ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল? তারকেশ্বরে চাপানউতোর
Tarakeshwar: এদিন সকালে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবার ক্যাম্প হওয়ার কথা ছিল নাইটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে একটি স্কুলের সামনে। বিডিয়ো অফিস থেকে আগেই জানানো হয়েছিল পঞ্চায়েতে। তারপরই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচারও চলে। সকালে বহু মানুষ পরিষেবা নিতে ওই এলাকায় চলেও আসেন।

তারকেশ্বর: উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার সেই ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াকে কেন্দ্র করেও তৃণমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। তৃণমূলেরই উপপ্রধানের অভিযোগ, যে জায়গায় পরিষেবা দেওয়ার কথা ছিল দলের নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই তা রাতারাতি বদলে ফেলা হয়েছে। এদিকে সেই খবর আবার এলাকার সব লোকজনের কাছে পৌঁছালোও না। ফলে শেষ পর্যন্ত হয়রানির শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
এদিন সকালে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবার ক্যাম্প হওয়ার কথা ছিল নাইটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে একটি স্কুলের সামনে। বিডিয়ো অফিস থেকে আগেই জানানো হয়েছিল পঞ্চায়েতে। তারপরই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচারও চলে। সকালে বহু মানুষ পরিষেবা নিতে ওই এলাকায় চলেও আসেন। কিন্তু দেখা যায় স্বাস্থ্য দফতরের কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়াই যে জায়গায় আগে হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে ক্যাম্প। আর তা নিয়েই এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর। প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মনিরুল আঙুল তুলছেন স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, “দলের নেতারাই পঞ্চায়েতকে খাটো করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নেতারাই বারবার পঞ্চায়েতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের তারকেশ্বর ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহরায়। তিনি বলছেন, কোন্দলের কোনও ব্যাপারই নেই। ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবার জায়গা ঠিক করে স্বাস্থ্য দফতর। ওই এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার কারণে জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে।
তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতির প্রশ্ন, নিজেদের দ্বন্দ্ব নিজেরা মেটান। মানুষের হয়রানি কেন করা হচ্ছে? অন্যদিকে স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ শেখ হানিফ বলছেন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তাঁরা পরিষেবা প্রদান করেছেন। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
