কোন্নগর: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কোন্নগর (Konnagar) পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের ভাই ও ভাইপোকে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের কোন্নগর শহর সভাপতির ঘনিষ্ঠদের বিরদ্ধে। যদিও শহর সভাপতির দাবি মাতালদের মধ্যে ঝামেলা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কোন্নগর স্টেশন রোড চৌরাস্তায় মারধর করা হয় সঞ্জীব দাসকে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ছেলে অংশুমানও। আক্রান্তরা সম্পর্কে কোন্নগর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান স্বপন দাসের ভাই ও ভাইপো।
স্বপন দাসের অভিযোগ যাঁরা মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরা এর আগেও তাঁর গায়ে হাত তুলেছে। তাঁর কাপড়ের দোকানেও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। তাঁর সাফ দাবি চেয়ারম্যান না হতে পারার রাগেই কোন্নগরের শহর সভাপতি এসব কাজ করছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে সঞ্জীব দাস বলেন, “আমার বুকের মধ্যে মারে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে ছুটে আসে। ছেলেকে মারধর করে। শেষে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাই আমরা। সেখানে চিকিৎসা করানোর পরই থানায় অভিযোগ জানাই। তারপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরি।”
ঘটনা প্রসঙ্গে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, “দুদিন আগে শহর সভাপতি হয়েছে। তারপর থেকেই বিভিন্ন লোককে চমকাচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমি যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি তখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার দোকানে ভাঙচুর করেছে। চেয়ারম্যান না হতে পারার রাগ থেকেই এ কাজ করছে। শুধু আমার বাড়ির লোক নয়। আরও অনেক লোকজনকেই মারধর করেছে।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা তন্ময় বর্তমানে কোন্নগর পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যদিও চেয়ারম্যানের ভাই ভাইপোকে মারধরের ঘটনাকে মাতালদের গন্ডোগোল বলে দাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি দলের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। দল জানে। এগুলো মাতালদের ব্যাপার। ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার এসব বিষয়ে নাক গলানোর কোনও ইচ্ছা নেই।”