হুগলি: বাংলার মানুষের মনের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে চাইছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির ৪০ তম দিনে অভিষেক পা রাখলেন ফুরফুরা শরিফে। জাঙ্গীপাড়ায় প্রয়াত পীর আবু বকর সিদ্দিকির মাজারে যান তিনি। দেখা করলেন ফুরফুরার পীরজাদাদের সঙ্গে। তারপর ত্বহা সিদ্দিকীদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন অভিষেক। ফুরফুরায় অবশ্য এর আগেও একাধিকবার এসেছেন তিনি। তবে দুই মাস ব্যাপী যে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছেন অভিষেক, সেই প্রেক্ষিতে এইবার ফুরফুরায় আসা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেক বললেন, ‘৫-৬ বছর আসা হয়নি। এখানে এলে নিশ্চিতভাবে আলাদাভাবে একটি শক্তির সঞ্চার হয়। লড়াই করার একটি নতুন মানসিকতা পাওয়া যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এই মাটি থেকে ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, অভিষেকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক পথে এগোচ্ছেন বলেই মনে করছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে অভিষেক যে পথে এগোচ্ছেন, সেই পথে তিনি সফল হবেন বলেই মনে করছেন ত্বহা। এদিন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার পর ত্বহা সিদ্দিকী বললেন, ‘একশোটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছাতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের হৃদয়ে পৌঁছেছেন। অভিষেককে বাংলার মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে হবে। সেই পদক্ষেপ উনি করেছেন। আশা করি সফল হবেন। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে নেমেছেন, সেই পথে তিনি সফল হবেন বলে আশা করি।’
ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী যখন এই মন্তব্য করছিলেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অভিষেকের ফুরফুরায় আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নবজোয়ারের সঙ্গে আছেন। হুগলির মাটিতে পা দিয়ে, প্রথম কাজ হল মানুষের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ফুরফুরায় আসা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এসেছিলেন, হুজুররা সবাই মিলে ওনাকে দোয়া করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী সময়ে ওই জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই যেন সবাই চোখে মুখে দেখছেন। মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রহণ করছেন, নাহলে এতটা সার্থক হবে কীভাবে!’