
বৈদ্যবাটি: বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতোর হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দিল কেন্দ্রের আবাস ও শহরঅঞ্চল বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগরোন্নয়ন সংস্থার(সুডা) ডিরেক্টর জলি চৌধুরী।
পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন মাসে কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পৃথকীকরণের ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। শহরে সাধারণের জন্য ব্যবহার করা শৌচালয়গুলোও ঘুরে দেখেন তাঁরা। রাজ্যের মোট ১২৮টি পুরসভা অংশগ্রহণ করেছিল ওই প্রোগ্রামে। তার মধ্যে পরিছন্নতার নিরিখে বৈদ্যবাটি সেরার শিরোপা অর্জন করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই পুরস্কার নিয়ে বৈদ্যবাটিতে ফেরেন পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন তাঁকে পাশে বসিয়ে ব্যাখ্যা দেন বৈদ্যবাটি পুরসভা কেন রাজ্যের মধ্যে পরিচ্ছন্ন। বিশেষ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বৈদ্যবাটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হুগলি জেলার আরও সাতটি পুরসভা এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংযুক্ত হয়েছে। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রিসাইকেল করা হচ্ছে জাপানি প্রযুক্তিতে।
শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ঝাড়ুদার গাড়ি, জল ছড়ানোর জন্য গাড়ি, জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়ি কেনা হয়েছে। শহরের যত্রতত্র আর জঞ্জাল পড়ে থাকে না। রাজ্যের পুরসভাগুলো নিয়ে যখন মিটিং হয় সেখানে বৈদ্যবাটিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়, এটা বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছে পুর প্রশাসন।
বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, “যে ভাল রেজাল্ট করে, সে আরও ভাল করতে চায়। এই চেষ্টাই থাকবে আমাদের।” পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, “কোনও বিষয় নিয়ে শহরের সাধারণ মানুষের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করি সকলকে নিয়ে চলতে।”