সিবিআই চায় জিয়নকাঠি দিয়ে তৃণমূলকে টিকিয়ে রাখতে: পার্থকে নোটিস প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সুজন
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ মিলে সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচার বিরোধী ঐক্য রচনা করেছে, এটা শুধু বাংলাকে বাঁচানোর জন্যই, বললেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
হুগলি: এবার সিবিআই (CBI)-র আতসকাচে তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chattopadhyay)। আইকোর মামলায় পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। যা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে এক পংক্তিতে ফেলে আক্রমণ শানালেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, সিবিআই যেন জিয়নকাঠি দিয়ে তৃণমূলকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
শুক্রবার হুগলির বলাগড় চাতরা থেকে জিরাট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বাম প্রার্থী মহামায়া মণ্ডলকে নিয়ে মিছিল করেন সুজন চক্রবর্তী। সেখান থেকে আইকোর মামলায় তৃণমূল মহাসচিবকে সিবিআই-র নোটিস প্রসঙ্গে সুজন বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকলে যাওয়া উচিত তাঁর। এর পরেই সিপিএম নেতার কটাক্ষ, “ওরা (সিবিআই) যা প্রশ্ন করবে তার উত্তর দেবেন (পড়ুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়)। এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, যাঁরা শাসক দলের নেতা তাঁরা বিভিন্ন রকম কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হয়ে আছেন। আরা এ নিয়ে আমরা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছি।” তারপরেই ভোটের আগে সিবিআই-র সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন। তাঁর কথায়, এইসব মামলার তদন্ত করতে কেন সাত বছর সময় লাগল সিবিআইয়ের?
সুজন যোগ করেন, “২০১৪ সাল থেকে এখন ২০২১ সাল। ঠিক ভোটের সময় সিবিআইয়ের মনে পড়ে এই মামলার কথা। ভোট শেষ হয়ে গেলে আবার সিবিআই শুয়ে পড়ে। সিবিআই চায় যেন জিয়ন কাঠি দিয়ে তৃণমূলকে টিকিয়ে রাখা যায়।” এখানেই শেষ নয়, সিবিআই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, সাত বছর আগেই তদন্ত করে দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিল সিবিআইর। সাত বছর আগে তা করেনি। এখন করতে পারবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কিন্তু এই দোষীদের দ্রুত শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলায় ভোট প্রচারে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা, থাকবেন সচিন-সিধু-আজহারও
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই নন্দীগ্রামে আইএসএফ প্রার্থী না দিয়ে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। আবার তৃণমূল নেত্রীও অভিযোগ করেন “বামেদের হার্মাদ এখন বিজেপির ওস্তাদ”-এ পর্যবসিত হয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুজন বলেন, “বিজেপি বা তৃণমূলকে খুশি করার জন্য আমরা ভোটে প্রার্থী দিই না।” তাঁর কটাক্ষ, এতদিন বামেদের প্রার্থী নিয়ে যে চর্চা হচ্ছে, যারা নিজেদের হেভিওয়েট ভাবছেন তারা যে আদতে লাইটওয়েট, মিডিয়ার প্রচারে ভেসে আছেন সেটাই প্রমাণ হচ্ছে। সুজনের কথায়, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ মিলে সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচার বিরোধী ঐক্য রচনা করেছে। এটা শুধু বাংলাকে বাঁচানোর জন্যই