‘গোখরো ভয় পেয়ে ছোবল মারে, উনি কীসে ভয় পেয়েছেন?’ মিঠুনকে কটাক্ষ ববির

সৈকত দাস | Edited By: arunava roy

Mar 09, 2021 | 4:48 PM

"নিশ্চিতভাবে কিছু ভয় কাজ করছে বলেই তিনি ছোবল মারার চেষ্টা করছেন।'' রবিবার ব্রিগেডে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)'র মন্তব্য প্রসঙ্গে খোঁচা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-এর।

গোখরো ভয় পেয়ে ছোবল মারে, উনি কীসে ভয় পেয়েছেন? মিঠুনকে কটাক্ষ ববির
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ

Follow Us

হুগলি: “গোখরো সাপ ভয় পেয়ে ছোবল মারে, আমি জানি না উনি কিসে ভয় পেয়েছেন। নিশ্চিতভাবে কিছু ভয় কাজ করছে বলেই তিনি ছোবল মারার চেষ্টা করছেন।” রবিবার ব্রিগেডে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)’র ‘এক ছোবলে ছবি’ বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

সোমবার সন্ধ্যায় ফুরফুরা শরিফে আসেন ফিরহাদ। ফুরফুরায় ধর্মীয় সম্মেলন উরুশ উৎসবের শেষ দিনে যোগ দেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুনের বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, বাংলায় ছোবল মারার দরকার নেই, আমরা ফণার উপর হাত বাড়িয়ে বলব, তোমরা যেখানে ছিলে সেখানে চলে যাও।”

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভায় বিজেপিতে যোগ অভিনেতা। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে নিজের সিনেমার সংলাপ দিয়ে মিঠুন বলেন, “আমি যা বলি তা করে দেখাই। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।” তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মদন মিত্র, সৌগত রায়ের মতো তৃণমূল নেতারা। এবার মিঠুন চক্রবর্তীর উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়লেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ২০১৫ সালে সারদা চিট ফান্ড মামলায় তৎকালীন সাংসদ মিঠুনকে সমন পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। যদিও সারদা টিভি চ্যানেল থেকে পাওয়া ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ইডিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। সিবিআই-ও তাঁকে ক্লিনচিট দেয় এই মামলায়। এদিকে তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে এসেছে ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করে বিজেপি। নাম না করে ওই ইস্যুতেই ফিরহাদ মিঠুনকে নিশানা করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: দেখা হল, কথাও হল, কিন্তু বিজেপিতে ডাকলেন না মুকুল, হতাশ তৃণমূল বিধায়ক

এদিকে একুশের ভোটে টিকিট না পেয়ে সোলালি গুহ, জটু লাহিড়ি সহ তৃণমূলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতা ও বিধায়ক এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে ফিরহাদের প্রতিক্রিয়া, এগুলো টিভিতে সংবাদ পরিবেশনের জন্য করে বিজেপি। সাধারণ মানুষের কাছে এই নেতাদের আসা-যাওয়ার কোনও গুরুত্ব নেই বলে দাবি তাঁর। তিনি যোগ করেন, “মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল সে স্বাস্থ্যসাথী পেল কিনা, বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছে কিনা। কে কোন দলে গেল, কোন দল থেকে এল এটা নিয়ে মানুষ ভাবিত নন।”

Next Article