Kidnap: মালিকের আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ, কোটি টাকা হাতাতে বড়সড় পরিকল্পনা
Hooghly: বড়সড় পরিকল্পনা করেছিলেন ওই দোকানের দুই কর্মী। কোটি টাকা হাতিয়ে নতুন করে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন।
হুগলি: মালিকের মতোই কম্পিউটার সেন্টার খুলে স্বাধীন ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন যুবক। অভিযোগ, সেই ব্যবসার পুঁজি জোগাড়ে মালিকেরই আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণের (Kidnap) পরিকল্পনা করেন ওই যুবক। এই ঘটনায় পাণ্ডুয়ার ওই কম্পিউটার সেন্টারের দুই কর্মী-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে সোমবার চুঁচুড়া আদালতে তোলে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। আদালত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ৯ মে পাণ্ডুয়ার সারদাপল্লির মনোরঞ্জন সাহার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। স্থানীয় কাজি মহল্লা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে দু’জন ওই আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে। এরপরই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যে ফোন থেকে ব্যবসায়ীকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়, সেই মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান পায়। সেই নম্বর থেকে কোথায় ফোন করা হয়েছিল, কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে তার তথ্য পেতেই অপহরণের মোটিভ পরিষ্কার হয়। উদ্ধার করা হয় শিশুকে।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশসুপার আমনদীপ বলেন, “সুমন ধোলে, নব্যেন্দু ঘোষ মনোরঞ্জন সাহার কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করতেন। পরিকল্পনা ছিল ব্যবসায়ীর থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিজেরা কম্পিউটার সেন্টার খুলবেন। ব্যবসায়ীর আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন সেইমতো। সুমন ঘটনার দিন বাড়ি থেকে শিশুকে বাইকে চাপিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান দু’জন।”
এরপর রবিবার রাতে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত সুমন ধোলে ও নব্যেন্দু ঘোষকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে খন্যান দক্ষিণপাড়া থেকে শুভাশিস ত্রিবেদী, নুনিয়াডাঙা থেকে রতন ক্ষেত্রপাল ও বৈঁচির বেরেলা থেকে সুদীপ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে, শিশুকে অপহরণ করার সময় এক মহিলা ছিলেন। ওই মহিলা ধৃতদের একজনের স্ত্রী বলেই জানা গিয়েছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় তিনি অংশী বলেই জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ওই শিশুকে সুমন শুভাশিসের হাতে তুলে দেন। এরপর যায় রতনের হাতে। এরপর রতন তাঁর পরিচিত সুদীপকে দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করে টাকা চান। ২ কোটি টাকা চেয়ে ফোন করা হয়।