Ayan Shil: অয়নের জন্য ভুগতে হয়েছে, ‘অধিকার’ বুঝে নিতে এবার থানায় চয়নিকা
Hooghly: চয়নিকার বক্তব্য ছিল, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে পারেননি বলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি বলে দাবি করেন তিনি
হুগলি: অয়ন শীলকে (Ayan Shil) টাকা দিতে না পারায় চাকরি পাননি বলে দাবি করেছিলেন চুঁচুড়ার চয়নিকা আঢ্য। এবার ইডির হাতে ধৃত অয়নের বিরুদ্ধে থানায় গেলেন তিনি। চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চয়নিকা। চুঁচুড়া ষণ্ডেশ্বরতলার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্য ২০১৯ সালে টিটাগর পুরসভায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। চয়নিকার বক্তব্য ছিল, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে পারেননি বলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে আরও। চয়নিকার দাবি, তিনি পুরসভায় গিয়েছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাঙ্কে স্যালারি অ্যাকাউন্টও খুলে দেওয়া হয়। পেয়েছিলেন এটিএম কার্ডও। কিন্তু এরপরও চাকরি পাননি তিনি।
চয়নিকার অভিযোগ, পুরসভায় জানতে গেলে তাঁকে বলা হয়েছিল, টাকা না দিলে মিলবে না কাজ। অয়ন শীলই এর নেপথ্যে বলে দাবি তাঁর। চয়নিকা বলেন, এতদিন অয়ন শীলের লোকজনের হুমকির ভয়ে তিনি মুখ খোলার সাহস পাননি। সোমবার বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা তাঁকে সঙ্গে নিয়েই হাজির হন চুঁচুড়া থানায়। তবে শুধু অয়ন নন, আরও তিনজনের বিরুদ্ধে চয়নিকা অভিযোগ করেন। তাতে নাম রয়েছে টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীরও। যদিও এ নিয়ে প্রশান্ত চৌধুরী আগেই বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।
এদিন চয়নিকা বলেন, “পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমি আমার চাকরিটা ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই।” চয়নিকার আইনজীবী শিবাজি দাস বলেন, “যে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে চয়নিকার কাছে তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আজ এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”