Hanuman Jayanti: অস্ত্র হাতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে, নিরস্ত্র করতে মরিয়া পুলিশ, ঢুকতেই পারলেন না ‘বহিরাগত’ লকেট
Hanuman Jayanti: এদিন বাঁশবেড়িয়ায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশাল এক শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন লকেট।
হুগলি: বাঁশবেড়িয়া ঢোকার আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (BJP MP Locket Chatterjee) গাড়ি আটকাল পুলিশ। হনুমান জয়ন্তীর মিছিল। সেই মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার মুখে বাধার মুখে পড়লেন লকেট। বাঁশবেড়িয়া কলবাজারে ঢোকার আগে লকেটের গাড়ি আটকায় পুলিশ। বোড়োপাড়া এলাকায় গাড়ি আটকানো হয় সাংসদের। এরপর গাড়ি থেকে নেমে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন লকেট। রাস্তায় বসেও পড়েন তিনি। যদিও লকেটের দাবি, তিনি পুজো দিতে যেতে চান। তাঁকে যেন বাধা না দেওয়া হয়। তবে পুলিশ এদিন যথেষ্ট কড়া। আদালত বলেই দিয়েছে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে। পুলিশের বক্তব্য, বাইরে থেকে কারও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাল্টা লকেটের দাবি, তিনি সাংসদ, তিনি এলাকার লোকজনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তবে পুলিশ তা শুনতে নারাজ। লকেটের কথায়, “পুলিশ বলছে আমি নাকি বহিরাগত। তার জন্য আটকে দেওয়া হল। বললাম ১০ মিনিট থাকব। সব তো শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। আমি গেলে কী গন্ডগোল হতো? এখানকার মানুষের জন্যই তো আমি।”
এদিন বাঁশবেড়িয়ায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশাল এক শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন লকেট। বাঁশবেড়িয়ার হনুমান মন্দির থেকে সেই শোভাযাত্রা বের হয়। শিবপুর এলাকা হয়ে এই শোভাযাত্রা এগিয়ে চলার পথে বিভিন্ন বাড়ি থেকে দেখা গিয়েছে মানুষের উঁকিঝুঁকি। বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা দেখতে মুখিয়ে এলাকার লোকজন।
এই মিছিল ঘিরে পুলিশে ছয়লাপ। রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়াররাও। রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। বিভিন্ন ঘিঞ্জি পথেও এগোচ্ছে শোভাযাত্রা। কোনওরকম যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য মগরা থানা এলাকার এই শোভাযাত্রার জন্য হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ১৬টি থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ। যে যে রুটে এই শোভাযাত্রা এগোবে, সেখানকার পুলিশের সঙ্গে ওয়াকি টকিতে কথা বলে নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। একাধিক বাড়ির ছাদ থেকেও চলছে নজরদারি। ছাদে রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।
বেশ কিছু এলাকায় দেখা গিয়েছে, তরোয়াল খেলা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা রাস্তার মাঝে তরোয়াল খেলা দেখান। তবে আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, শোভাযাত্রায় অস্ত্র বা লাঠি রাখা চলবে না। এরইমধ্যে হাতে তরোয়াল থাকায় পুলিশ আটকায় এক জায়গায়। বাদানুবাদ তৈরি হয়। যদিও পরে স্বাভাবিক ছন্দেই এগিয়ে যায় হনুমান জয়ন্তীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।