TMC MLA: তৃণমূল বিধায়কের উপর ‘হামলা’, পাল্টা লাঠি নিয়ে তেড়ে গেলেন তিনিও… বিজেপি-তৃণমূলের তুমুল ঝামেলা চুঁচুড়ায়
TMC: তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, "পুজো করব নাকি? আমাকে চোর বলে আমার হাত ধরে টানছে, আমি যদি প্রতিরোধ না করতাম, আমাকে তো মারত। আপনাকে কেউ মারবে, আপনি কি পড়ে পড়ে মার খাবেন? আমি নাম করে অভিযোগ জানিয়েছি।"
হুগলি: নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল। সেই মিছিল থেকে তৃণমূল বিধায়কের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। পাল্টা বিজেপির দাবি, বিধায়ক লাঠি নিয়ে তেড়ে যান গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের দিকে। এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তুলকালাম বেধে যায় চুঁচুড়ার খাদিনামোড় এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। লাঠি নিয়ে ধেয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “পুজো করব নাকি? আমাকে চোর বলে আমার হাত ধরে টানছে, আমি যদি প্রতিরোধ না করতাম, আমাকে তো মারত। আপনাকে কেউ মারবে, আপনি কি পড়ে পড়ে মার খাবেন?”
এদিন খাদিনামোড়ে বিজেপির মিছিল ছিল। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, এই মিছিলের কারণে রাস্তায় সমস্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। কোনওভাবে তাঁর গাড়ি এগিয়ে যেতেই জনা তিরিশেক ছেলে এসে তাঁর গাড়ির উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। বিধায়কের নাম ধরে চোর বলেন বলেও দাবি তাঁর। এরপরই তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা ছুটে এলে গোলমাল চরমে ওঠে বলে জানান এলাকার লোকজন। অসিত মজুমদার জানান, তিনি কলকাতা থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি আটকে হেনস্থা করা হয়। খাদিনামোড় এলাকায় তাঁর দলীয় অফিসে সে সময় মিটিং চলছিল। তাই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, বিধায়কের নেতৃত্বে মারধর করা হয়েছে তাদের লোকজনকে।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “আমি কলকাতা থেকে ফিরছি। ২৫-৩০টা ছেলে স্লোগান দিচ্ছে, অসিত চোর, তপন চোর, তৃণমূলের সবাই চোর। আমার গাড়ি সবে এগিয়েছে। এরপরই আমার উপর হামলা। আমি গাড়ি থেকে নামতেই ধাক্কাধাক্কি আমাকে। একদম পেট্রোল পাম্পের সামনে এটা হয়েছে। পার্টি অফিসে মেয়েদের মিটিং চলছিল। ওরা ছুটে আসে। ওরা ধেয়ে যেতে পালিয়ে যায়।”
যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির প্রতিবাদে মিছিল। চাকরি চুরির বিরুদ্ধে মিছিল করছিল চুঁচুড়া মণ্ডলের বিজেপির লোকজন। সেখানে বিধায়ক এসে আমাদের কর্মীদের মারধর করেন। আমাদের সহ-সভাপতিকে বীভৎসভাবে মারা হয়েছে। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে কে একটা। আমরা ভাবতেই পারি না পশ্চিমবঙ্গে এসব চলতে পারে।”