TMC Clash: ধর্মতলা থেকে ফিরে রাতেই পাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার, রক্তারক্তিকাণ্ড…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 22, 2022 | 7:00 AM

Arambag: একজন তৃণমূল কর্মীর খোঁজ নেই বলে দাবি তাঁর পরিবারের। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর পর্যন্ত চালায়।

TMC Clash: ধর্মতলা থেকে ফিরে রাতেই পাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার, রক্তারক্তিকাণ্ড...
রাখুরি সাঁতরা। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হুগলি: ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে ফেরার পরই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের বোলুন্ডি গ্রামে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজন তৃণমূল কর্মীর খোঁজ নেই বলে দাবি তাঁর পরিবারের। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর পর্যন্ত চালায়। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল হয়ে ওঠে, তা সামাল দিতে আরামবাগ থানার পুলিশ ও র‍্যাফ নামানো হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। অভিযোগ, আরামবাগ যুব জেলা সাংগঠনিক সভাপতি পলাশ রায়ের গোষ্ঠীর লোকজনের উপর হামলা চালায় প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ভাই তথা এলাকার উপপ্রধান অলোক সাঁতরা গোষ্ঠীর লোকজন। রক্তাক্ত হন বেশ কয়েকজন। সকলেই নিজেদের তৃণমূলের লোক বলে দাবি করেন। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “আমরা মিটিং থেকে ফিরছিলাম। অলোককুমার সাঁতরার লোকজন মারধর করেছে। বোলুন্ডি আশ্রমের মোড়ে আমাদের মারধর করে। তিনজনকে মেরে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে।”

আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পলাশ রায়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত রাখুরি সাঁতরা বলেন, “কলকাতা থেকে ফিরে পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছি। দেখি অলোক সাঁতরার কিছু লোক এসে আমাদের ঘিরে ধরল। এরপরই বাঁশ, আর কী কী দিয়ে যেন মারধর শুরু করে। আমরা তৃণমূল করি। আমরা মিটিংয়ে গেছি বলে মেরেছে।”

কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অলোক সাঁতরা দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। তাঁর কথায়, “আমরা ধর্মতলায় গিয়েছিলাম। সে সময় সব ভাঙচুর করেছে। আমাদের একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে শুনলাম। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। আমাদের এলাকার কয়েকজন মেয়ে সবটা দেখেছে। ওদের সঙ্গে নিয়ে থানায় যাব। যা হয়েছে আইসি সাহেবের কাছে বলব। ওরা মুখে বলে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল করলে তো তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙত না। ওরা পলাশ রায়ের লোক। ধর্মতলার জন্য আমরা দু’টো গাড়ি ছেড়েছি। ওদের গাড়িতে লোক হয়নি। সেই রাগে এসব করেছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ।

Next Article