হুগলি: সন্ধ্যা নামলেই দোরে খিল দিয়ে বসে থাকছেন এলাকার লোকজন। সূয্যি ডুবলেই এলাকায় নতুন উৎপাত। শিয়ালের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে পাণ্ডুয়ার (Pandua) বাসিন্দাদের। পাণ্ডুয়ার সরাই আমবাগান এলাকার বাসিন্দারা শিয়ালের উপদ্রবে কার্যত গ্রাম পাহারায় বসছেন। সন্ধ্যা গড়ালেই রাস্তাঘাটে চলার উপায় নেই। সবসময় আতঙ্কিত এলাকার লোকজন, ঝোপ জঙ্গল থেকে যে কোনও সময় লোকালয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। শুধু সরাই নয় পাণ্ডুয়ার নমাজগ্রাম, সোনার গ্রাম, চৌগাড়া, ক্ষীরকুণ্ডি-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখন শিয়ালের আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। গৃহস্থের বাড়ি থেকে হাঁস, মুরগি ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে চলতে গেলে বাসিন্দারা এখন লাঠি নিয়ে বের হচ্ছেন।
সম্প্রতি এক বৃদ্ধা বিপাকে পড়তে পড়তে কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে গিয়ে বিপদের মুখে পড়তে হয় এলাকার কিছু যুবককেও। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে ১০-১২টি শিয়ালের তাড়া খেতে হয় তাঁদের। কোনওরকমে পালিয়ে তাঁরা শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পান।
এলাকার লোকজনের কথায়, সন্ধ্যা নামলেই মাঠ থেকে শোনা যাচ্ছে শিয়ালের ডাক। শীতকালে এমনিই রাস্তা শুনশান। সন্ধ্যে নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুতের আলো আছে। তবে কে বা কারা বারবারই স্ট্রিট লাইট ভেঙে দিয়ে যায়। তার মধ্যে এই নতুন বিপদ চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে এলাকাবাসীর কপালে। সন্ধ্যা নামলেই ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন এলাকার লোকেরা। বনদফতর, প্রশাসনের কাছে তাঁদের আবেদন, কিছু একটা ব্যবস্থা নিক তাঁরা।
পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি বনদফতরকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। শুধু সরাই নয় একাধিক জায়গায় শিয়ালের উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তাই মানুষ রাত পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন বনদফতরকে জানিয়েছে। দ্রুত এর সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি।