AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Utkarsha Bangla: উৎকর্ষ বাংলার টাকায় ‘বেনিয়ম’, বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মহিলারা

Hoogly News: বিক্ষোভকারীদের কথায়, সোমবার প্রশিক্ষণের শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে ডাকা হয়। ১৬ দিনের প্রশিক্ষণের ভাতাও দেওয়ার কথা ছিল এদিনই।

Utkarsha Bangla: উৎকর্ষ বাংলার টাকায় 'বেনিয়ম', বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মহিলারা
প্রতিবাদে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2022 | 8:56 AM
Share

হুগলি: উৎকর্ষ বাংলার (Utkarsha Bangla) প্রশিক্ষণ নিলেও দীর্ঘ সময় ভাতা পাননি বলে অভিযোগ। প্রায় আট মাস পর টাকা পেলেও সেই টাকা কেটে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সোমবার পোলবা বিডিও অফিসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের বিক্ষোভ দেখায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৮০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। কাউকে ৭৫০ টাকা, কাউকে আবার ৬০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের কথায়, সোমবার প্রশিক্ষণের শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে ডাকা হয়। ১৬ দিনের প্রশিক্ষণের ভাতাও দেওয়ার কথা ছিল এদিনই। হিসাবমতো ৮০০ টাকা পাওয়ার কথা তাঁদের। কিন্তু সেই টাকা থেকে একটা অংশ কাটা হয় বলে অভিযোগ।

চৈতালি চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা বলেন, “স্কুলড্রেস তৈরির ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের মেয়েদের ৮০০ টাকা করে এসেছে। অন্য গ্রামপঞ্চায়েতে মেয়েরা ৮০০ টাকা করে পেলেও শাহজাহান স্যর, রফির স্যর আমাদের টাকা কেটে দিচ্ছেন। কাউকে ৫০০, কাউকে ৪০০, কাউকে ৭০০ টাকা দিচ্ছেন। কেন এটা হবে? জেলা থেকে তো সবার সমান টাকাই এসেছে। তাহলে এটা করছেন কেন?”

যদিও প্রশিক্ষক শাহাজাহান মল্লিক বলেন, “এতে আমাদের কোনও হাত নেই। যেমন ওনারা হাজিরা দিয়েছেন, আমরা সেটাই পাঠিয়েছি। ১৬ দিনের প্রশিক্ষণ হয়েছে। সই করতে হয়েছে সকলকে। বিডিও অফিসের লোকও ছিলেন। আমাদেরও লোক ছিল। ওয়ার্কশপ হয়েছে, পাঠিয়ে দিয়েছে নাম। কেন ওনারা টাকা কম পাচ্ছেন সেটাও আমরা বলতে পারব না। জেলা প্রশাসন বলতে পারবে। ১৬ দিনের কাটিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কাপড় বাঁচিয়ে কীভাবে কাটিং করা যাবে তার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। মূলত স্কুল ড্রেস তৈরির ক্ষেত্রে ট্রেনিং দেওয়া হয়।” যদিও প্রশিক্ষণ নেওয়া মহিলারা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁরা স্পষ্ট জানান, পুরো টাকাই দিতে হবে তাঁদের। না হলে প্রতিবাদ চলবে।