Missing: ‘আমার শরীর ভাল লাগছে না’, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যুবক; এরপরের ঘটনায় তাজ্জব বাড়ির লোকেরা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 02, 2022 | 6:51 PM

Hoogly News: বিজয়ের পরিবারের লোকজনের দাবি, বিজয়ের সঙ্গে থাকা বিকির শ্যালিকা জানিয়েছেন, রায়পুরে বিজয়কে নেমে যেতে দেখেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে কোথায় যান, তা জানতে পারেননি।

Missing: আমার শরীর ভাল লাগছে না, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যুবক; এরপরের ঘটনায় তাজ্জব বাড়ির লোকেরা...
নিখোঁজ যুবকের স্ত্রী।

Follow Us

হুগলি: রাজকোটে থাকেন ভাগ্নে। তাঁর কাছে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন পাণ্ডুয়ার (Pandua) যুবক। ১৪ দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। পরিবার সূত্রে খবর, রায়পুরে নেমে গিয়েছিলেন ওই যুবক। এরপর থেকে আর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের। গুজরাটের রাজকোটে সোনার দোকান রয়েছে পাণ্ডুয়ার বিকি তুরির। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকেন বিকি। বিকির মামা পাণ্ডুয়ার পশ্চিম বালিহাট্টার বিজয় তুরি (৩৬) ভাগ্নের কাছে বেড়াতে যাবেন বলে গত ১৯ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হন। তাঁর সঙ্গে বিকির শ্যালিকা ও ১৫ বছরের ছেলেও ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, ১৯ তারিখ রাতে শালিমার পোরবন্দর এক্সপ্রেসে সাঁতরাগাছি থেকে তাঁরা ওঠেন। বিজয়ের স্ত্রী গিয়েছিলেন স্বামীকে ট্রেনে তুলে দিতে। ১০টা ২০তে ট্রেন ছাড়ে। পরদিন সকাল ৬টায় বিজয়ের সঙ্গে শেষবার কথা হয় তাঁর স্ত্রী রেবার। এরপর ১১টায় একবার ফোন করলে বিজয় শুধু বলেছিলেন, ‘শরীর ভাল লাগছে না’। রেবা জানান, এরপর আর যোগাযোগ করা যায়নি বিজয়ের সঙ্গে।

বিজয়ের পরিবারের লোকজনের দাবি, বিজয়ের সঙ্গে থাকা বিকির শ্যালিকা জানিয়েছেন, রায়পুরে বিজয়কে নেমে যেতে দেখেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে কোথায় যান, তা জানতে পারেননি। এরপর থেকে ফোনও বন্ধ বিজয়ের। বিজয়ের পরিবারের লোকের কথায়, বাড়ি থেকে লোকজন গিয়ে রায়পুর স্টেশন, স্থানীয় হাসপাতাল, বিনামূল্যে খাবারের শিবির সর্বত্র খুঁজে দেখেন। কোনও খোঁজ মেলেনি। ইতিমধ্যেই পাণ্ডুয়া থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে পরিবার।

বিজয়ের স্ত্রী রেবা তুরি বলেন, “১৯ তারিখ আমিই গিয়ে সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেনে তুলে দিই। ৬টায় ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম কেন রাতে ফোন করলে না। বলল, ঘুমিয়ে পড়েছিল। তখন বলল ভাল লাগছে না। আমি আবার ১১টা নাগাদ ফোন করেছিলাম, তখন বলল শরীর ভাল লাগছে না। এরপর ১২টা নাগাদ শুনছি ও রায়পুরে নেমে পড়েছে। আমার ভাগ্নের শ্যালিকা ছিল সঙ্গে, উনিই জানালেন রায়পুরে নেমে পড়েছেন। তারপর থেকে আর খবর নেই। আমার ভাইয়েরা গিয়েছিল। রায়পুর স্টেশন, হাসপাতাল সব খোঁজে। পুলিশ স্টেশন, জিআরপি সব জায়গায় খোঁজ করে। কিন্তু খবর নেই। পাণ্ডুয়া থানায় জানিয়েছি।”

Next Article